বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয় রাজধানী ঢাকায়। শহরের রাস্তাঘাট ছিল অনেকটা ফাকা। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঢাকা ছিল সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যখন ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন তখন রমনা থানা, কাকরাইল, মৎস্য ভবন, চানখারপুল, বকশীবাজার এলাকায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের কয়েকদফা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে।
ঘোষিত রায় প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মসূচি দিয়েছে। এই রায় প্রত্যাখ্যান সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় এবং মিছিল করে। তারা কয়েকস্থানে মোটর সাইকেল মিছিলও বের করেছে।
রায়ের পরে খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সে প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
জেলে যাওয়ার পরে বেগম খালেদা জিয়া সেখানে কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং জনমনে সৃষ্ট আতংক ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বাংলাদেশের মানুষ আতংকগ্রস্ত, শংকিত এবং বাংলাদেশের রাজনীতি বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বলে মনে করেন দুইজন বিশ্লেষক সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফসান চৌধুরী-ভয়েস অব আমেরিকার জন্য তাদের বিশ্লেষণ।
Your browser doesn’t support HTML5
ঢাকা থেকে আমীর খসরু'র রিপোর্ট।