বিপদ আবার কড়া নাড়ছে। গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার আলামত দেখে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। আট মাস পর হঠাৎ করে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের ১৬ই জুলাই ৩ হাজার ৭৭৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। গতকালের খবর সাড়ে তিন হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন একদিনে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার বেড়ে ১৩ দশমকি ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এসময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৫ হাজার ৯৫৪টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪ টি নমুনা।
দেশে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৩৮ জন। রাজধানীর কোভিড হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। আইসিইউ বেড খালি নেই বললেই চলে। পরিস্থিতি দেখে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা আতঙ্কিত।ফের লকউাউনে যাবে কিনা এনিয়েও রয়েছে দ্বিধা-দন্দ্ব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদিও তাদের ১২ দফা সুপারিশে লকডাউনের কথা বলেছিল। তবে আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন মনে করেন, লকডাউন অতীতে তেমন একটা সুফল বয়ে আনেনি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লকডাউন কোন উপকারে আসবে না। সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনেক বেড়ে গেছে। যেকারণে সংক্রমণ বাড়ছে।
Your browser doesn’t support HTML5
সংক্রমণে ফের রেকর্ড, একদিনে ৩৫৫৪
হঠাৎ করে রোগী বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার ছয়টি হাসপতালকে নতুন করে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তরফে। এসব হাসপাতালে আগে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলেও সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মাঝে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
ওদিকে করোনার ভ্যাকসিনের তৃতীয় চালান আসা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানাতে পারছেন না কর্মকর্তারা। আগে বলা হয়েছিল ২৫শে মার্চ ভ্যাকসিনের তৃতীয় চালান আসছে। স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, মার্চের মধ্যেই টিকা আনার চেষ্টা চলছে। এর আগে দুই দফায় ভারত থেকে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসে। এর বাইরে আরো ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেয় ভারত। আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ শুরু হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।