সোমবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। শুধুমাত্র গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অফিস, শিল্পকারখানা চলেছে যথারীতি। প্রথম দিন ১১ দফা নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যায়। গণপরিহন না থাকায় কর্মস্থলে যেতে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হেঁটে বা রিকশায় করে অনেককে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় সড়কে কোথাও কোথাও যানজট দেখা গেছে। এছাড়া পাড়া মহল্লার সব দোকানপাট খোলা থাকায় সেখানে মানুষজনকে ভিড় করতে দেখা যায়। ব্যাংকে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে। পুঁজিবাজারের কার্যক্রম চলে দুই ঘণ্টা।
বিধি-নিষেধের কারণে দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল। অভ্যন্তরীন রুটের বিমান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
‘লকডাউনের’ কারণে কর্মজীবী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন ঢাকার নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, বিধি-নিষেধের মধ্যে সবই চলছে। শুধু দোকান বন্ধ রেখে কি লাভ?
ওদিকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে কিনা সেটি জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার। পরিস্থিতি দেখে সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সর্বশেষ একদিনে ৭ হাজার ৭৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে মারা গেছেন ৫২ জন। আগের দিন রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী
Your browser doesn’t support HTML5
লকডাউন কার্যকর, প্রথম দিন সবকিছু ঢিলেঢালা