অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাংবাদিক কর্মশালা- ৩: গর্ভবতী মায়ের প্রসব বেদনা


রাত প্রায় ৩টা, চারিদিকে অমবস্যার অন্ধকার। এমন সময় রিক্সা চালকের স্ত্রী রুনার প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। সন্তান জন্মদানের আর্ত চিৎকার। কোন কিছু না বুঝেই অনেকেই আশেপাশে জড়ো হয়েছে। তবে বেশির ভাগই উৎসুক, বিত্তশালী, সবারই সহযোগীতার গাড়ী আছে। কিন্তু ইচ্ছা নেই। ফলে প্রসব বেদনার আর্তনাদ কারো মন গলাতে পারে নি।

এগিয়ে এল পুলিশও। কিন্তু বিধি বাম। মুখ ফিরিয়ে নিল। অবশেষে নাইট গার্ড হাত বাড়ালেন সাহায্যের। ততক্ষণে ঘরেই ফুট ফুটে আলো দিতে এক সন্তানের জন্ম দিলেন দুঃখিনি মা। যদিও নিজ গৃহে গর্ভপাত তবুও আনন্দের উচ্ছলতা। এম সময় নাইট গার্ড একজন ধাত্রী নিয়ে হাজির। পরে ধাত্রীই সন্তান জন্মদানের শেষ আনন্দটুকু বাহিরে অপেক্ষমানদের মধ্যে জানালেন।

আশপাশের বস্তিরও অনেকে আনন্দ বার্তা ছড়িয়ে দিলেন। কিন্তু মাথা নিচু করে পেছনে গেলে ঐসব উৎসুক বিত্তশালী। যদিও দেশের প্রায় ৩৮% জন্মদান হয় ক্লিনিকে বা হাসপাতালে ডাক্তারের দেখা শুনায়। এরপরও ৬২% হয় গ্রামের ঘরে ঘরে বা হত দরিদ্র পরিবারে।

শহরের নারীরা যতটুকু সুবিধা পায় সন্তান জন্মদানে, গ্রামের মায়েরা সেই সুবিধাটুকু পান না। তবে এখন সূর্যের হাসি ক্লিনিকে মাসে ৪৫০০ গর্ভবতী মায়েরা চিকিৎসা নিচ্ছে। ৪০/৫০ জন গর্ভবতী নারী মা হচ্ছেন এই ক্লিনিক থেকে।

এমনও শোনা যায়, গাইনী বিভাগের ডাক্তাররা রোগীকে সেবার ভয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। গর্ভবতীদের প্রশ্ন তারা এই পেশায় থাকেন কেন?

রিপোর্ট:

১। মাকসুদ আহমদ, জনকণ্ঠ।

২। ওমর ফারুক, নয়া দিগন্ত্

৩। এয়াকুব আলী, কর্ণফুলী।

৪। নুপুর দেব, কালের কণ্ঠ।

XS
SM
MD
LG