অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বারোপ করেছে জি-৭


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

সকল রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

এক যৌথ বিবৃতিতে, মিয়ানমারে অস্ত্র ও জেট ফুয়েল এবং অন্যান্য দ্বৈত ব্যবহার উপযোগী উপকরণের প্রবাহ রোধ বা বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি তাদের আহবান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির এই যৌথ বিবৃতি শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

বিবৃতিতে তারা একটি অর্থবহ ও টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে, অবিলম্বে যে কোনো সহিংসতা বন্ধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের এবং নির্বিচারে আটক সব বন্দীর মুক্তির আহবান জানান এবং সব অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ শুরুর জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানান।

জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, “আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে, যে কোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও অভাবী মানুষের কাছে দ্রুত, নিরাপদ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার দেয়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করছি।”

এছাড়া, ৫ দফা ঐকমত্যের দ্রুত বাস্তবায়নে বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি তারা সমর্থন অব্যাহত রাখবেন বলে উল্লেখ করেন বিবৃতিতে।

মিয়ানমারে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে জি-৭ দেশগুলো। বলেছে, “আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২৬৬৯ (২০২২) এর ব্যাপক বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেছি। মিয়ানমার বিষয়ক নবনিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের নেতৃত্ব এবং দেশটিতে আবাসিক সমন্বয়কারী নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে এই সংকটে জাতিসংঘের আরো সম্পৃক্ততাকে আমরা সমর্থন করি।”

জি-৭ দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা এবং শান্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য দেশটির জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন ও সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বেসামরিক অবকাঠামোতে (বাড়িঘর, স্কুল, উপাসনালয় ও হাসপাতালসহ) সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলা, বারবার ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং উদ্বেগজনক মানবিক পরিস্থিতি; যা বিশেষ করে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর সদস্যদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণতে ঠেলে দেয়; সে রকম পরিস্থিতিকে সম্পুর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে জি-৭ দেশগুলো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সামরিক শাসকদের দ্বারা ২০১০ সালের বাধ্যতামূলক নিয়োগ আইনের সাম্প্রতিক প্রয়োগেরও নিন্দা জানাই।”

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তরুণদের জোরপূর্বক নিয়োগ কেবল অধিকতর সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাপক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার কারণ হতে পারে।

XS
SM
MD
LG