রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত বার্ষিক প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বা মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও এক ধাপ নেমেছে। গত বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৩। কিন্তু ২০২৪ সালে সেটা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৬৫-তে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রকাশিত ২০২৪-এর মানবাধিকার রিপোর্ট সহ হিউমান রাইটস ওয়াচ, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনগুলো অনুযায়ীও বাংলাদেশের প্রেস ফ্রিডম পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
সমালোচিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বদলে চালু হওয়া নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ ও সাংবাদিকদের নিবর্তন মূলক অনেক ধারা রয়েই গেছে।
এ প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষ্যে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা ও এর চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কথা বলেছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরের সাথে।
এ সাক্ষাৎকারে নূরুল কবীর, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নানা চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে খোলামেলা মতামত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে নূরুল কবীর, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্র কিভাবে একটু ভয়ের সংস্কৃতি চালু রেখে ভিন্নমত দমন করছে, কিভাবে কর্পোরেট পুঁজি ও মিডিয়ার মালিক গোষ্ঠী সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে বাধা দিচ্ছে, সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে নূরুল কবীর বলেন, বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সে দেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্নিহিতভাবে জড়িত। শেষ বিচারে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বা সাংবাদিকতা একটি রাজনৈতিক লড়াই বলেই মনে করেন নুরুল কবির। দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে সংবাদপত্র বা মোট প্রকাশের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা যায় না বলে মনে করেন তিনি।
যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন যে তার নিজের ক্ষেত্রে তিনি স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারছেন কিন্তু তিনি এও মনে করেন, বিদ্যমান ভয়ের সংস্কৃতি, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও সরকারের নানামুখী চাপ ও হয়রানির কারণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা প্রেস ফ্রিডম এর অবস্থা খুবই নাজুক।
ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কাজী মহসীন আব্বাস।
ভয়েস অফ আমেরিকা: বাংলাদেশের সমাজ মুক্ত গণমাধ্যমকে কতটা লালন করে?
নূরুল কবীর: প্রথম কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে সংবিধান, সেই সংবিধানের মধ্যে বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এক হাতে দিয়ে, আরেক হাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র যদি মনে করে, কোনো বিশেষ মতবাদ বা কোনো সংগঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার-ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন, রাষ্ট্রের জন্য নিরাপদ না, তাহলে তার অধিকারটা থাকবে না। এটাই বলা আছে ওখানে। কিন্ত কে নির্ধারণ করবে; কোনো বক্তব্য কিংবা উপস্থাপনা কিংবা অবস্থা রাষ্ট্রবিরোধী হয়ে যাচ্ছে কিনা; এটা নির্ধারণ করার জন্য কোনো যথাযথ কর্তৃপক্ষ এখানে নেই।
ফলে, যে যখন বা যে দল যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্ধারণ করে। তাদের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ও কৌশলের বিরুদ্ধে কোনো গণতান্ত্রিক সমালোচনা থাকলেও, সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা বলে পরিগণিত করা হয় এবং এর শাস্তির বিধান আছে। এটা হলো এক, দ্বিতীয় হচ্ছে, এখানেও, মিডিয়ার মালিকানার সঙ্গে মিডিয়ার কর্মীদের স্বার্থের সংঘাত সারা পৃথিবীতে যেমন আছে, বাংলাদেশেও আছে। তার চেয়ে বেশি আরেকটা বিষয় আছে, নানা ধরণের অগণতান্ত্রিক আইন-কানুন এখানে সংবাদ কর্মীদের মাথার ওপর ঝুলে।
আর একটা ব্যাপার হলো, মালিকানার ধরনটা, যা আমরা বললাম, বিশ-ত্রিশ বছর ধরে অনেক প্রতিষ্ঠান হয়েছে। সরকারগুলো দাবি করে, এই সরকার আরো বেশি করে করে, কারণ তারা অনেক দিন ধরে ক্ষমতায় আছ; তারা বলে, এতো এতো মিডিয়া আছে। তারা এটা বাক স্বাধীনতার প্রমান হিসেবে তুলে ধরে। কিন্ত মুশকিল হচ্ছে, যে সমস্ত লাইসেন্সের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে, সেসব লাইসেন্সের মালিক, তাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে। এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। তার আগে যারা ছিলো, বিএনপির সময় যারা ছিলো তারাও তাই ছিলে। এদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে- এখন আর সব সময় মামলা দিয়ে, বেত মেরে কিংবা গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে মতামতকে কন্ট্রোল করতে হয় না। কারণ যে ওয়ার্কফোর্স তৈরি করা হয়েছে, সংবাদ কর্মীদের একটা বিরাট অংশ আওয়ামী লীগ বিএনপি হয়ে বসে থাকে। ফলে এখন আর প্রতি নিয়ত রিপ্রেসিং মাধ্যম থেকে টেলিফোন করে বলে দিতে হয় না, কী ছাপা যাবে আর কী ছাপা যাবে না। দেখা যাচ্ছে যে কর্মীরাই সেন্সরশিপের দায়িত্বটা পালন করছে।
আর, এর বাইরে যারা আছেন, সে সংখ্যা যত কমই হোক না কেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে চায়, জনস্বার্থপরায়ণ সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হতে চায়; কিংবা রাষ্ট্র এবং সমাজের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সাংবাদিকতার প্রয়োজন উপলব্ধি করেন বা যারা করতে চান; সেখানে তাদের জন্য আছে নিগ্রহমূলক আইন, ভয়ের সংস্কৃতি। সে সমস্ত প্রতিঠানগুলোকে আর্ম টুইস্টিং-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। যেমন ধরুন সরকারি বিজ্ঞাপন দেবে না। আচ্ছা না দিক, কিন্ত, যদি প্রাইভেট সেক্টর বিজ্ঞাপন দেয়, তাহলে তাদের নানা ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয় ভয় দেখিয়ে। কিংবা সরকার কিছু কিছু বিজ্ঞাপন দিলেও পয়সা দেবে না। নানা ভাবে ফিনান্সিয়াল আর্ম টুইস্টিং-এর মাধ্যমে এই চেষ্টাগুলো চলে। ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার যেমনভাবে সংকোচিত হয়ে গেছে, তেমনি সাধরণভাবে নাগরিকদের এবং বিশেষভাবে সংবাদকর্মীদের যে বাক স্বাধীণতা, সেটাও একটা স্ট্যান্ডার্ড গণতান্ত্রিক মানে উন্নীত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
ভয়েস অফ আমেরিকা: মুক্ত গণমাধ্যম মানবাধিকারের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি, দুটোকে আপনি কিভাবে দেখবেন?
নূরুল কবীর: দুটো ওতপ্রোতভাবে জড়িত, মুক্ত গণমাধ্যম এবং নাগরিকদের মানবাধিকার। আমার কাছে দুটোই রাজনৈতিক ব্যাপার। সাংবাদিকতা আমার কাছে একটা রাজনৈতিক তৎপরতা ছাড়া আরা কিছুই না। মানবাধিকারের প্রশ্নটাও মূলত রাজনৈতিক ইস্যু। রাষ্ট্র যখন গণতান্ত্রিক থাকে, তথন সেখানে মানবাধিকার যে পরিমাণ সমুন্নত থাকে, রাষ্ট্র যদি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়, রাষ্ট্রের ম্যানেজার হিসেবে সরকার যদি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়, কার্যত একদলীয় ব্যবস্থায় নিপতিত হয়; সেখানে মানবাধিকার কেবল মাত্র ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত বা সংশ্লিষ্ট, তাদের জন্যই থকে। বাকিদের জন্য থাকেনা। আর, দ্বিতীয়ত, মিডিয়া যখন কর্তৃত্বপরায়নতার মধ্যে থাকে, মিডিয়ার কর্মীরা যখন থাকে, তারা যখন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত থাকে, তখন নাগরিকদের মানবাধিকার থাকে না, মুক্ত সাংবাদিকতা আসে না, মুক্ত থাকে না। আমার কাছে পুরো জিনিসটাই নির্ভর করে, মুক্ত সাংবাদিকতা থাকবে কিনা, বিকশিত হবে কিনা, সেটা নির্ভর করে রাষ্ট্র এবং সমাজের রূপান্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়া হবে কিনা, তার ওপর। আর, তার জন্য যে রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন হয়, গণতন্ত্রপরায়ণ শক্তি, সেটা সমাজে যখন অনুপস্থিত থাকে কিংবা উপস্থিতি যখন প্রবল থাকেনা, তখন একটা জনগোষ্ঠী যে দুর্বিসহ অবস্থায় পড়ে, মিডিয়াও সেই অবস্থায় পড়ে। এ দুটোই ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ভয়েস অফ আমেরিকা: যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মানবাধিকার প্রতিবেদন, আরো এমন কিছু প্রতিবেদন এবং এর আগের বছরের প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, সবকটাতেই একটা দিক বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি নেই। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের অধিকার কোন পরিস্থিতিতে আছে বলে আপনি মনে করেন।
নূরুল কবীর: বিদেশিরা যখন নানা ইনডেক্স তৈরি করেন, প্রত্যেকটার ক্ষেত্রেই যে ইনফরমেশন তারা নেন, তাতো আপনার আমার কাছ থেকেই নেয়। তার মানে, এখানকার মানুষের কাছ থেকেই নেয়। তাদের রেকর্ড ছাড়াও আমরা যেটুকু জানি, যেটা বললেন-তেমন কোনো উন্নতি নেই; ফ্রিডম হাউসের যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, ওই কথাটাই বলেছে, তেমন কোনো উন্নতি নেই। মানে কোন জায়গাতেই উন্নতি নেই। বিশ সাল পর্যন্ত বা বাইশ সাল পর্যন্ত খুবই খারাপ অবস্থায় ছিলো বলে তারা উল্লেখ করেছে। সেখান থেকে কোনো উন্নতি হয়নি, অর্থাৎ, খারাপ অবস্থায় আছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এবং এটাতো সত্য যে মানবাধিকারের পজিশন বলুন বা সংবাপত্রের, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলুন, এটাতো একটা খারাপ জায়গায় আছেই। এটা আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি। রিপোর্টগুলো তারা রিলিজ করুক কিংবা না করুক; তারপরও এটা সত্য। সেই চ্যালেঞ্জ গুলোর কথা আমি আগেই বলেছি; বাংলাদেশে যেমন গণতন্ত্রপরায়ন শক্তির উত্থান দরকার, তেমনি, মিডিয়ার মধ্যেও মানবাধিকার কর্মীদের মতো আরো সাহস নিয়ে এবং আরো কমিটমেন্ট নিয়ে যতক্ষণ না একটা বিরূপ অবস্থার মোকাবেলা করবে; ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থার উন্নতি তো হবেই না, স্ট্যাটিকও থাকবেনা, আরো নিচের দিকে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক কর্মী, মিডিয়া ফ্রিডমের জন্য সংবাদকর্মী এবং যারা হিউম্যান রাইটস নিয়ে কাজ করেন, তাদের একটা সংঘবদ্ধ তৎপরতা ছাড়া এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই।
ভয়েস অফ আমেরিকা: একজন সম্পাদক হিসেবে আপনি কতটা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ভোগ করেন?
নূরুল কবীর: আমি ব্যক্তিগতভাবে করি, এর কারণ হচ্ছে, এটা করার জন্য কিছু মূল্য দিতে হয়। সেটা করার জন্য যারা প্রস্তুত থাকেন তারা এটা করতে পারেন। সংবাদপত্রতো শুধু সম্পাদক নন। তার চারপাশে একদল সহকর্মী ছাড়াতো আর সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে পারে না। একটা জিনিস আমি অনুভব করি; এখন থেকে ২০ বছর আগে, সংবাদ কর্মীরা, যারা আমার সহযোগী ছিলেন, তারা যে পরিমাণ সাহস দেখাতে পারতেন; এখন ঠিক সেই পরিমাণ সাহস দেখাতে পারেননা। আমাদের সাহস দেখানোর পলিসি থাকা সত্বেও পারেননা। কারণ হচ্ছে, সমাজের ভেতরে যে ভয়ের সংস্কৃতির সঞ্চার হয়েছে, সেটার একটা নেতিবাচব প্রভার সবার ওপর কমবেশি পড়ে। কখন কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়; সেখানে তো সম্পাদক প্রথমেই তাকে রক্ষা করতে পারবেন না। কিংবা কোন সিকিউরিটি এজেন্সি কখন তাকে ধরে নিয়ে যাবে, তাদের কোনো পরিবেশিত রিপোর্ট পছন্দ না হলে; পরে হয়েতো এডিটর তার পক্ষে দাঁড়াবে, তারা তা জানে; কিন্তু তাৎক্ষনিক যে প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা থেকে রক্ষার কোনো উপায় আছে বলে তারা মনে করেনা। ফলে সাধারণভাবে যে একটা অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে এখানে, ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে এখানে; সেইখানে মুক্ত গণমাধ্যমের, এমনকি নীতিগত অবস্থান থাকলেও, প্রায়োগিক অর্থে অনেকেই আর আগের মতো সাহস পান না। সেই অর্থে তো বহু পরিস্থিতির শিকার আমরা সবাই।
ভয়েস অফ আমেরিকা: নূরুল কবীর আপনাকে ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য।
নূরুল কবীর: আপনাকে, আপনাদের ধন্যবাদ।