অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় রকমের ঘাটতির আশঙ্কা


বাংলাদেশের চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় রকমের ঘাটতির আশঙ্কা করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি। সংস্থাটি চলতি অর্থ বছরের প্রথন ছয় মাসের রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন এবং দেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রোববার। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয় যাতে সিপিডি মনে করছে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাড়াতে পারে ৪০ হাজার কোটি টাকা । সংস্থাটি বলছে, অর্থনীতিতে স্থিতি থাকলেও তাতে কোন চাঞ্চল্য নেই। তারা বলেছে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রয়োজন । তবে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ঠেকাতে চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। বাংলাদেশের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ২ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা । এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে হয়েছে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা । বাকি টাকা অন্যান্য খাতের আয় ও বৈদেশিক সাহায্য থেকে পূরণ করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে । সিপিডির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজস্ব ও বৈদেশিক সাহায্যের ঘাটতি পরে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মেটানো হয় যা আগে থেকেই চলে আসা একটি প্রচলিত কাঠামো। সিপিডি তার সুপারিশে বলছে, ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলায় নজর দিতে হবে সরকারকে, বিশেষ করেখারাপ ঋণ কমিয়ে আনা প্রয়োজন। সংস্থাটি জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের সুপারিশ করে বলেছে এটা করা হলে তা অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সিপিডি বলেছে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ না থকায় বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। এটি বন্ধ করার জন্য তারা আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। জহুরুল আলমের রিপোর্ট:

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:02:23 0:00

XS
SM
MD
LG