বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো মামলার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এ মামলার কার্যক্রমের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। রায়ের কপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. নূরম্নজ্জামান এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়। এর ফলে নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রায়ে বলা হয়েছে, রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। রম্নল খারিজ করা হলো। আবেদনকারী জামিন চাইলে নিম্ন আদালত বিবেচনা করবেন। কারণ আবেদনকারী জামিনের কোন অপব্যবহার করেননি। এ রায়ের বিরম্নদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, ফৌজদারী মামলায় রিট চলে না। তাই আদালত আবেদন খারিজ করেছেন।
২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর দুদক নাইকো মামলাটি দায়ের করে। পরের বছর ৫ই মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরম্নদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত রম্নল জারি করে ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। উলেস্নখ্য যে, একই অভিযোগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরম্নদ্ধেও মামলা হয়েছিল। ২০১০ সনে তার বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
ওদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩শে জুলাই দিন ধার্য্য করেছেন বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি ও সাক্ষীর সংক্ষিপ্ত জেরা শেষে এ দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে হাজির ছিলেন এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।