অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

‘অকাস’ চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিরকালের অংশীদারিত্ব বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী


বাম দিক থেকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডটন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে দেখা যাচ্ছে। ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২১, ছবি-এপি
বাম দিক থেকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডটন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে দেখা যাচ্ছে। ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২১, ছবি-এপি

এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিভক্তি দেখা দিয়েছে। যেখানে কিছু সমালোচক ইতিমধ্যে বলছেন যে এটি চীন সাগরে চীনের সামরিকীকরণের মুখে, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা বাড়ানোর পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়াকে বরং ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে ।

চুক্তির আওতায়, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ২০ বছরে অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত ৮টি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরিতে সহায়তা করবে, যাতে তার ছয়টি ডিজেল-চালিত ডুবোজাহাজের বর্তমান বহর প্রতিস্থাপন করা যায়।

১৯৫৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র তার পারমাণবিক ডুবোজাহাজ প্রযুক্তি অন্য কারো সাথে বিনিময় করেছে। যেটি আগে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের সাথে বিনিময় করেছিল। এই চুক্তিটি তিনটি দেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের কথাই তুলে ধরছে । বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা অকস্মাৎ “AUKUS” নামে একটি ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গঠনের কথা ঘোষনা করেন।

অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই চুক্তিকে "চিরকালের অংশীদারিত্ব" নামে অভিহিত করেছেন। এই চুক্তিটি এমন সময় হল যখন অস্ট্রেলিয়া এবং চীনের মধ্যে বড় রকমের উত্তেজনা চলছে এবং আফগানিস্তানে "চিরকালের যুদ্ধ" নামে অভিহিত যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে এসেছে।

ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে লোই ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রধান স্যাম রোগভিন বলেছেন, "অস্ট্রেলিয়া, এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বন্ধু এবং এশিয়ার মিত্রদের, যা বিবেচনা করা দরকার তা হল যে, এই অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদে একই ভাবে বিবেচনা করবে কি না"।

এ দিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন অস্ট্রেলিয়ার উপর নানান রকমের বানিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ক্যানবেরা সরকার যে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করেছে , টেলি-যোগাযোগের বিশাল কোম্পানি হুয়াউইকে যে প্রত্যাখ্যান করেছে , চীনা এজেন্টরা যে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ভাবে হস্তক্ষেপ করছে সে সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগ এবং ঊহানে কোভিড -১৯ ‘এর উত্পত্তি সম্পর্কে তদন্তের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন এ সব কিছুকে নিয়ে চীন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।

XS
SM
MD
LG