অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

'অণু' তৈরির নতুন পদ্ধতির জন্য রসায়নে নোবেল জিতলেন দুই বিজ্ঞানী


রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দুই বিজ্ঞানী জার্মানির বেঞ্জামিন  লিস্ট এবং স্কটল্যান্ডের ডেভিড ডব্লিউ.সি ম্যাকমিলান।

বুধবার অণু তৈরির"সহজ" নতুন উপায় খুঁজে বের করার জন্য দুই বিজ্ঞানী রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।এটি ওষুধ থেকে শুরু করে খাবারের স্বাদ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস জানিয়েছে, জার্মানির বেঞ্জামিন লিস্ট এবং স্কটল্যান্ডের ডেভিড ডব্লিউ.সি ম্যাকমিলানের কাজ ইতিমধ্যেই ওষুধ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে এবং রসায়নকে "পরিবেশ অনুকুল " পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

নোবেল প্যানেলের সদস্য পার্নিলা উইটুং- স্ট্যাফশিড বলেন,"এটি ইতিমধ্যে মানবজাতির ব্যাপক উপকার করছে।"

পৃথক পরমাণুগুলিকে নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় যুক্ত করে অণু তৈরি করা - একটি কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। এই সহস্রাব্দের শুরুর আগ পর্যন্ত, রসায়নবিদদের প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য কেবল দুটি পদ্ধতি বা অনুঘটক ছিল।

তবে ২০০০ সালে এর পরিবর্তন ঘটে যখন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের লিস্ট এবং প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ম্যাকমিলান, আলাদাভাবে তাদের গবেষণাতে জানান যে ছোট জৈব অণুগুলি বড় উৎসেচক বা এনজাইম এবং ধাতু অনুঘটক হিসাবে একই কাজ করতে পারে।

উইটুং- স্ট্যাফশিড বলেন, নতুন পদ্ধতি, যা অসম অর্গানোক্যাটালাইসিস নামে পরিচিত, রাসায়নিক বিক্রিয়াকে "সুনির্দিষ্ট, সুলভ, দ্রুত এবং পরিবেশ বান্ধব" করেছে। "এই নতুন পদ্ধতি বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে যেমন ওষুধ আবিষ্কার ও সূক্ষ্ম রাসায়নিক উৎপাদনে।"

নোবেল প্যানেলের চেয়ারম্যান জোহান অ্যাকভিস্ট নতুন এই পদ্ধতিটিকে " যতটা সহজ ততটাই উদ্ভাবনকুশল ” হিসাবে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, "আসল বিষয়টি হলো অনেকেই আশ্চর্য বোধ করছেন যে আমরা কেন এই পদ্ধতিটির কথা আগে ভাবিনি"।

ঘোষণার পর কথা বলার সময় লিস্ট বলেন পুরস্কারটি একটি "বিশাল বিস্ময়"।

XS
SM
MD
LG