করোনার সংক্রমণ রুখতে আংশিক লকডাউনের পথ বেছে নিল বাংলাদেশ। সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে এ সম্পর্কে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ যেকোনো উপলক্ষে জন-সমাগম সীমিত থাকবে। মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটন, বিনোদনকেন্দ্র ও সিনেমা হলে জন-সমাগম নিরুৎসাহিত করা হবে।
কোনো মেলার আয়োজনকেও উৎসাহিত করা হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালাতে হবে। ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করা হবে। প্রয়োজনে বন্ধ থাকার কথাও বলা হয়েছে। বিদেশফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। কওমি মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর যাতে কেউ বের না হন তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সভা-সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে। হোটেল, রেস্তোরাঁয়ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক মানুষ হোটেল, রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানের পুরোটা সময়ই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে থাকবে হবে।
ওদিকে করোনাভাইরাসের চোখ রাঙানি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ১৮১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে একদিনে এত রোগী শনাক্ত হননি। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। গত জুন-জুলাই মাসে করোনার সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছেছিল। সে সময় প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী শনাক্ত হতেন। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত এসেছে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ। ৩২ লাখ ডোজ এসেছে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে। গত সপ্তাহে সেরাম ইন্সটিটিউট রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে। এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা অপেক্ষায় আছি। সময়মতো না পেলে আমরা বিকল্প পথে যাবো। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী