অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের কান্দাহারে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে ৩২জন নিহত


আফগান পুরুষরা কান্দাহারের একটি শিয়া মসজিদের ভিতরে একটি আঙ্গিনায় বসে আছেন। শুক্রবারের নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলার পর ৩০জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। ১৫ অক্টোবর ২০২১। (ছবি-এএফপি/জাভেদ তানভির)
আফগান পুরুষরা কান্দাহারের একটি শিয়া মসজিদের ভিতরে একটি আঙ্গিনায় বসে আছেন। শুক্রবারের নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলার পর ৩০জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। ১৫ অক্টোবর ২০২১। (ছবি-এএফপি/জাভেদ তানভির)

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে একটি শিয়া মসজিদে এক বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩২জন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে স্থানীয় মিরওয়াইস হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

জুম্মার নামাজের সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। সাধারণত শুক্রবার প্রচুর লোক জুম্মার নামাজ আদায় করে থাকেন।সামাজিক মাধ্যমে দেয়া ছবি ও ভিডিওতে মসজিদের ভেতরে রক্তাক্ত দৃশ্য, মৃতদেহ ও দেহের অঙ-প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন অন্যান্য মুসুল্লিরা।

তালিবানের একজন মুখপাত্র বিলাল করিমি ভিওএকে নিশ্চিত করেছেন যে কান্দাহারের বোমা হামলায় "অনেক আফগান নাগরিক হতাহত হয়েছে।" তিনি বলেন,এই সহিংস হামলায় দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য তদন্ত চলছে।

এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

আফগানিস্তানের আরেকটি শহর কুন্দুজে শুক্রবারের নামাজের সময় আক্রমণের ঘটনার এক সপ্তাহ পর এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো।ঐ ঘটনায় পঞ্চাশজনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর স্থানীয় শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএসকেপি দাবি করেছে যে কুন্দুজের হামলাটি একজন উইঘুর করেছে।

কাবুলে নিজের মায়ের দাফনের সময় হামলাসহ একাধিক হামলার পরেও তালিবান সহকারি-তথ্যমন্ত্রী জাবিহুলাহ মুজাহিদ এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ভিওএ -কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্বীকার করেছেন যে আইএস একটি মারাত্মক হুমকি।

তিনি বলেন, আইএসকেপি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামলা চালানোর সুযোগ পাওয়ার একমাত্র কারণ যে, তালিবান যখন দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন অনেক কারাগারের দরজা খুলে দেয়া হয়, যার ফলে আইএসকেপির সুবিধাভোগীরা পালিয়ে যায়।

মুজাহিদ বলেন, “আমাদের বাহিনী এর শিকড় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। গত দেড় সপ্তাহে আমরা আইএস-এর অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি এবং তাদের লুকিয়ে থাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস করেছি। আমরা তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছি।”

আইএসকেপি দাবি করেছে যে একজন উইঘুর কুন্দুজে হামলাটি চালিয়েছে।তবে মুজাহিদ বলেন যে চীন তালিবানের সঙ্গে এই বিষয়ে কোন আলোচনা করেনি।

তালিবান যেদিন কাবুলে প্রবেশ করেছিল সেই ১৫ই আগস্ট থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত খোরাসান চতুর্থবার এমন বড় মাপের হামলা চালালো।

তালিবানের কাছ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার আফগান নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার সময় কাবুল বিমানবন্দরে মারাত্মক হামলার দায়ও স্বীকার করেছে এই গোষ্ঠীটি। সেই হামলায় প্রায় ১০০ আফগান এবং ১৩জন আমেরিকান কর্মী নিহত হয়।

XS
SM
MD
LG