অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের বেশির ভাগ অঞ্চল এখন তালিবানের দখলে


জালালাবাদে তালিবান পতাকা উড়িয়ে পিকাপ চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। আগস্ট ১৫ ২০২১- রয়টার্স

আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখন তালিবানের কাছে। গত এক সপ্তাহে দেশের ৩৪টির মধ্যে ২৫টি প্রাদেশিক রাজধানী তাদের অধীনে। শনিবার দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফসহ কয়েকটি শহর দখল করেছে তালিবান। রবিবার জালালাবাদের নেতৃবৃন্দ আত্মসমর্পণ করেছে তালিবানের কাছে।

আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখন তালিবানের কাছে। গত এক সপ্তাহে দেশের ৩৪টির মধ্যে ২৫টি প্রাদেশিক রাজধানী তাদের অধীনে। শনিবার দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফসহ কয়েকটি শহর দখল করেছে তালিবান। রবিবার জালালাবাদের নেতৃবৃন্দ আত্মসমর্পণ করেছে তালিবানের কাছে।

আফগানিস্তানের সর্ব সাম্প্রতিক অবস্থাঃ

১৫ই আগস্ট- জালালাবাদ। সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা সর্বশেষ শহর যা তালিবানের দখলে চলে গেছে। কাবুলের ১৩০ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের পঞ্চম বৃহৎ শহর জালালাবাদ পূর্ব নাঙ্গারহার প্রদেশের রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- তালিবান বাহিনী রাজধানী কাবুলের কাছাকাছি চলে আসায় কাবুলে থাকা আগের ৩০০০সহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০০ সেনা সদস্য মোতায়েনের

নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যাতে করে কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও মিত্রদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজে তারা সাহায্য করে।

১৪ই আগস্ট- উত্তর বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ দখল করে তালিবান। তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে উজবেকিস্তানের সীমান্ত শহর মাজার-ই-শরিফ দখলের ঘোষণা দেয়।

১৪ই আগস্ট- প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি টেলিভিশন ভাষণে বলেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা চলছে। তিনি সেনা বাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান।

১৪ই আগস্ট- শনিবার বিকালে কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদ দখল করে তালিবান।

১৩ই আগস্ট- তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা থেকে কাতারের দোহা থেকে ফেরেন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ। শোনা যায় তালিবান ও প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির মধ্যের যুদ্ধ বিরতির চুক্তি হয়েছে। Afghanistan's High Council for National Reconciliation এর প্রধান গনির সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে দোহা ফিরে যান।

১৩ই আগস্ট- ক্যানাডা ২০ হাজার আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে সম্মত হয়। এপি জানায় শুক্রবার আফগান শরণার্থীদের নিয়ে প্রথম বিমানটি টরোন্টো পৌঁছেছে। ।

১৩ই আগস্ট- নেটো মহাসচিব জেন্স স্টোলেনবার্গ বলেন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে জোটভুক্তদের মধ্যে আলোচনার জন্যে North Atlantic Council এ মিলিত হবেন। তিনি বলেন, কাবুলে নেটোর কূটনৈতিক উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে এবং যতোটা সম্ভব আফগান সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করবে।

আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে তালিবানের দখলে যাওয়া রাজধানীসমূহঃ

১৫ই আগস্ট- জালালাবাদ-পূর্ব নাঙ্গারহার প্রদেশের রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- মাজার-ই-শরিফ- উত্তর বালখ প্রদেশের রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- আসাদাবাদ- পূর্ব কুনার প্রদেশের রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- মাইমানা- উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ফারিয়াবের রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- মিহতারলাম – পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লাঘমানের রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- গারদিজ- পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাক্তিয়ার রাজধানী।

১৪ই আগস্ট- শারানা- দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাক্তিকার রাজধানী।

১৩ই আগস্ট- কালাত- জাবুলের রাজধানী।

১৩ই আগস্ট- পল-ই-আলম- প্রেসিডেন্ট গনির শহর লোগারের রাজধানী।

১৩ই আগস্ট- ফিরুজকোহ- ঘোর প্রদেশের রাজধানী।

১৩ই আগস্ট- তারিঙ্কত- উরুজঘানের রাজধানী।

১৩ই আগস্ট- লস্কর গাহ – হেল্মন্দের রাজধানী।

১২ই আগস্ট- কান্দাহার- কান্দাহারের রাজধানী।

১২ই আগস্ট- হেরাত- কেরাতের রাজধানী।

১২ই আগস্ট- কালা-ই-নাও- বাদ্ঘিসের রাজধানী।

১২ই আগস্ট- গজনী- গজনীর রাজধানী।

১১ই আগস্ট- ফাইজাবাদ- বাদাখশানের রাজধানী।

১০ই আগস্ট- ফারাহ- ফারাহ প্রদেশের রাজধানী।

১০ই আগস্ট- পুল-ই-খুমরি- বাঘলানের রাজধানী।

৯ই আগস্ট- আয়বাক- সামাঙ্গানের রাজধানী।

৯ই আগস্ট- তালোকান- তাখার প্রদেশের রাজধানী

৮ই আগস্ট- কুন্দুজ- কন্দুজের রাজধানী।

৮ই আগস্ট- সার-ই-পুল - সার-ই-পুল এর রাজধানী।

৭ই আগস্ট- শেবারঘান – জাওজান প্রদেশের রাজধানী।

৭ই আগস্ট- জারাঞ্জ- নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী।

(কিছু তথ্য রয়টার্স ও এপি থেকে নেয়া)

XS
SM
MD
LG