অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংলাপ! মুফতি ইব্রাহিম গ্রেপ্তার 


মুফতি ইব্রাহিম
মুফতি ইব্রাহিম

করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংলাপ করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন ইসলামী বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংলাপের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এরপর সোমবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নেয়া হয়েছে দু'দিনের রিমান্ডে।

পুলিশ দশদিন রিমান্ড চেয়েছিল। মামলা হয়েছে দুটো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি। অন্যটি হয়েছে প্রতারণার অভিযোগে। করোনাভাইরাসের ইন্টারভিউ স্বপ্নযোগে শীর্ষক ইউটিউবে মুফতি ইব্রাহিমের বয়ান শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিছুটা কৌতুকেরও সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওতে ইতালির জনৈক মারুফ মামুনের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে মুফতি বলেছেন, এতে তার কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। এটা একজনের স্বপ্ন মাত্র। এটা সত্য হতে পারে, নাও হতে পারে। কেয়ামতের আগে স্বপ্নগুলো মিথ্যা হওয়ার কথা নয়।

স্বপ্নটা এরকম-ভাইরাসকে প্রশ্ন করলাম, তোমরা পৃথিবীতে কখন আসছো? ভাইরাস বলল, আমরা ২৩শে অক্টোবর চীনে এসেছি। তখন আয়েশা নামের এক মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় এবং সে নিহত হয়। মামুন ভাইরাসকে প্রশ্ন করলো, চীন দেশে কেন? পৃথিবীতে অন্যান্য দেশের মুসলিমদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের, লিবিয়ায়, সিরিয়ায় কতো দেশেই তো হচ্ছে। চীনে কেন আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিলেন? সেটা এজন্য যে, উইঘুর নামক এলাকায় মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছেন। চার দেয়ালের ভেতরে রেখে তাদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। কেউ এই চিৎকার শুনতে পায় না। তাই সরাসরি আল্লাহতায়ালা সেখানে ভাইরাস পাঠিয়েছেন।

ভাইরাসকে মামুন জিজ্ঞেস করলো, তোমরা পৃথিবীতে কি করবা? ভাইরাস উত্তর দিচ্ছে- আমরা পৃথিবীতে আসছি, চলে যাবো এমন নয়। আমরা অনেক মানুষকে মেরে যাবো। এরপর অন্যান্য দেশে । এছাড়া আরও বেশ কিছু দেশের নাম উল্লেখ করে মুফতি আজগুবি সব তথ্য প্রচার করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে নানা রকম অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে অসত্য, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন।টিকা নিয়ে নারীর দাড়ি গজাচ্ছে, পুরুষ কন্ঠ পাল্টে যাচ্ছে এমনসব বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি।

মামলায় বলা হয়, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন যিনি দিয়েছেন তিনি অসুস্থ হয় গিয়েছেন, ভারতের ভ্যাকসিন যিনি প্রথম দিয়েছেন তিনি অসুস্থ। আরেক দেশের ভ্যাকসিন যাকে দিয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইত্যাদি মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শক বক্তব্য দিয়ে জনসাধারণের মনে টিকা সম্পর্কে ভীতি তৈরি করে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত করোনা টিকাদান কর্মসূচিকে ব্যাহত করেছেন মুফতি ইব্রাহিম।

অপর মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ-সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG