করোনাভাইরাসের সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আগামী বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপি মানুষের চলাচল সহ বিভিন্ন কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার।
১৩ দফা বিধি নিষেধ আরোপ করে সরকার সোমবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যাতে বলা হয়েছে সকল সরকারি -বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ থাকবে। সড়ক, নৌ, রেল এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সমুহ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বন্ধ থাকবে।
এতে অবশ্য বলা হয়েছে জরুরী সেবা সমুহ, পণ্যপরিবহন ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত জরুরি সেবা সমুহ এবং শর্ত সাপেক্ষে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন যেমন ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা এবং মৃতদেহ দাফন ও সৎকারের মত কাজ ছাড়া কোনভাবেই কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। করোনার টিকার কার্যক্রমও খোলা থাকবে । খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করার জন্য খাবার হোটেল ও রেস্তুরাঁ দিন ও রাতের নির্দিষ্ট সময়ে খোলা রাখা যাবে। সমুদ্র, বিমান, স্থল এবং নৌ বন্দর সমুহ খোলা থাকবে।
এদিকে, বিশ্বব্যাংক বলেছে আগামী মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের কাছ থেকে থেকে ৬.৮ কোটি ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া শুরু করবে। আজ ঢাকায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলমে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের দেশীয় পরিচালক মার্সি টেম্বন বলেন, ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোভ্যাক্স থেকে ভ্যাকসিন খুব শীঘ্রই পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন । তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ভ্যাকসিন কিনতে অর্থের কোনো সমস্যা নাই কারন বিশ্বব্যাংকও ৫০ কোটি ডলার দিতে
যাচ্ছে যা দিয়ে দেশের তিরিশ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন কেনা যাবে। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও জড়িত রয়েছে।
অপরদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ আজ জানিয়েছে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৩ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন অপর ৭২০১ জন।
