অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কলকাতায় আবার ওমিক্রন রোগী শনাক্ত, এবার আক্রান্ত ডাক্তার


কলকাতার হাওড়া ব্রিজ
কলকাতার হাওড়া ব্রিজ

শুক্রবারই ডাবলিন ফেরত এক যুবকের শরীরে ধরা পড়েছিল ওমিক্রন। এবার আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেলের এক জুনিয়র ডাক্তার। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তার বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। তাহলে তিনি কীভাবে সংক্রমিত হলেন, স্থানীয় স্তরেও সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সংক্রমণের উপসর্গ ছিলই। নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স করে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। চিকিৎসককে কোভিড ইউনিটের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি আর কতজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কলকাতায় এখনও অবধি ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। ব্রিটেন ও নাইজেরিয়া ফেরত কলকাতার দুই বাসিন্দার শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছিল আগেই। শুক্রবার ডাবলিন ফেরত ২৭ বছরের এক যুবকের নমুনা পরীক্ষায় ওমিক্রন ধরা পড়ে। ডাবলিন থেকে বিমানে ওঠার আগে কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন ওই যুবক। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ডাবলিন থেকে ম্যানচেস্টার, আবুধাবি ও দিল্লী হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। জানা গেছে, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো হাল্কা উপসর্গ তাঁর ছিলই। কলকাতায় ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ আসে। এরপর জিনোম সিকুয়েন্স করিয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের হদিশ মেলে।

স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট শরীরে ঢুকেছে কিনা তা জানা যাবে একমাত্র জিনোম সিকুয়েন্স করলে। তাই রাজ্যে নতুন যারা আসছেন বা আগে ভ্রমণের রেকর্ড আছে তাদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়ে নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স করা জরুরি। কিন্তু বিদেশ ভ্রমণ না করেও ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানোয় চিন্তার পারদ চড়েছে।

বড়দিন, নববর্ষ পালনে ব্যস্ত শহরবাসী। উৎসবমুখর কলকাতায় নিয়ন্ত্রণের বাঁধ ভাঙবে কিনা সে নিয়েও উদ্বেগে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কড়া কোভিড বিধি জারি করার পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ওমিক্রনের নতুন ঢেউ আসতে পারে, তাই এখন থেকেই বিধিনিষেধের রাশ শক্ত করতে হবে।

XS
SM
MD
LG