মামলা চলাকালীন অবস্থায় আকস্মিকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালত স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে বিরোধী পক্ষে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল কোন কারণ উল্লেখ না করে জানান, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আদালত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে পরিত্যক্ত পুরনো কারাগারে বসবে আদালত। আগে বসতো বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে। আইন সচিব জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খালেদার আইনজীবীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী। কারণ সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী হবেন। খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এই সংবাদদাতাকে বলেন, তারা এই সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন। কারণ এটা পাবলিক ট্রায়াল হচ্ছে না।
ওদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, এটা এখন একটি ক্যামেরা ট্রায়ালে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালের সুযোগ নেই।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া গত ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে পুরনো ঢাকার পরিত্যক্ত একটি কক্ষে বন্দি রয়েছেন। এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও কুমিল্লার দুটি মামলায় তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। বর্তমানে খালেদার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে।