অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গায়েবি মামলা: বিচারপতিরা একমত হতে পারেননি


গায়েবি ও কাল্পনিক মামলা বন্ধে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের বিচারকরা একমত হতে পারেননি। একজন রুলের পক্ষে। অন্যজন বিরোধিতা করেছেন।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:41 0:00

বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী রুল দেয়ার পক্ষে মত দেন। এর বিরোধিতা করেছেন অপর বিচারপতি আশরাফুল আলম। বিভক্ত রায়ের কারণে বিষয়টি এখন যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে। এরপর তিনি নতুন কোন বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। দেশব্যাপী ৪ হাজার মামলায় ৩ লক্ষাধিক আসামি করে গায়েবি ও কাল্পনিক মামলা দায়েরের পটভূমিতে প্রতিকার চেয়ে একটি রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। শুনানিতে অংশ নিয়ে সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন সোমবার আদালতে বলেন, এ ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের মামলা প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে করা হয়েছে। যা কিনা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। ড. কামাল বলেন, গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ২০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবি মামলা করা হয়েছে। মামলার অভিযোগ, জব্দকৃত আলামত একই। মৃত ব্যক্তিকেও এখানে আসামী করা হয়েছে। ড. কামাল বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের নামেও ককটেল বিস্ফোরণের মামলা দেয়া হয়েছে। প্রথম দিন বিচারকরা সিনিয়র আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় দিন এসে প্রেক্ষাপট বদলে যায়। রুল জারির ব্যাপারে বিচারকদের মধ্যে ভিন্নমত তৈরি হয়। বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী রুলের পক্ষে মতামত রেখে বলেন, যারা মামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারপতি আশরাফুল কামাল রিটের পিটিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। বলেন, এটা ঠিকমতো উপস্থাপিত হয়নি। এটা ফৌজদারি মামলা। দরখাস্তকারীরা চাইলেই নিম্ন আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। এরপর বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটে এখানেই।

XS
SM
MD
LG