অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ছাত্রদের ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি


bangladesh student protest
bangladesh student protest

নানামুখী প্রচেষ্টার পরও ছাত্রদের ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি। ছাত্র আন্দোলন এখন আর রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়েছে সারা দেশে। রাজনৈতিক কোন দাবি-দাওয়া নয়, দাবি নিরাপদ সড়কের। ন্যায় বিচারের। সবার জন্য আইন সমান এটাও অন্যতম দাবি।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:23 0:00

দু’জন সহপাঠীর মর্মান্তিক মৃত্যু তাদেরকে প্রতিবাদী করেছে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বৃহস্পতিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে পঞ্চম দিনের মতো রাজপথে। বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পরও ছাত্রদেরকে দমানো যায়নি বরং এদিন উপস্থিতি ছিল আরো বেশি। প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা। বৃহস্পতিবার শেরাটন হোটেল মোড়ে দেখলাম তারা পুলিশের গাড়ির কাগজপত্রও দেখতে চাইছে। ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে কিনা সেটাও চেক করছে। চিন্তিত পুলিশের জবাব নেই। কাওরানবাজারে একজন ডিআইজির গতিরোধ করলে তিনি স্বীকার করেন গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই। ধানমন্ডিতে একজন মন্ত্রীকে যখন ওরা চ্যালেঞ্জ করলো? তখন ঐ মন্ত্রী ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই স্বীকার করে অন্য গাড়িতে উঠলেন। স্যোসাল মিডিয়ায় এই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে। রাজধানী ঢাকা কার্যত এখন একটা দ্বীপে পরিণত হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের জেরে। বৃহস্পতিবার দিনভর বাইরের জেলার যানবাহনও প্রবেশ করেনি। ঢাকার মিরপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বলতে গেলে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কোন কাজ ছিল না। যেটুকু ছিল তা পালন করেছে ছাত্ররা। সাধারণ মানুষ কিভাবে দেখছেন এই আন্দোলন?
বাংলাদেশের গণপরিবহন খাতে নৈরাজ্য অনেক দিনের। দুর্নীতিগ্রস্ত এই খাতটি সব সময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ক্ষমতাসীনরাই এই খাতটি নিয়ন্ত্রণ করেন। সরকারের তরফে আন্দোলন থামানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ছাত্ররা তাতে সাড়া দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। এই আন্দোলনে কোন নেতা নেই। কোন কমিটিও নেই। স্যোসাল মিডিয়া এই আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রাখছে।

XS
SM
MD
LG