অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জামালপুরে আবাসিক মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ তিন শিশুর সন্ধান মেলেনি


ইসলামপুর মহিলা মাদ্রাসা থেকে রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ তিন ছাত্রী
ইসলামপুর মহিলা মাদ্রাসা থেকে রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ তিন ছাত্রী

বাংলাদেশের জামালপুর জেলার ইসলামপুর মহিলা মাদ্রাসা থেকে রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ তিন ছাত্রীকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ জানায়, গোয়ালেচর দারুত তাক্বওয়া আবাসিক ছাত্রীদের মাদ্রাসা থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ তিন কন্যাশিশু নিখোঁজ হয়। ঘটনার পর পুলিশ মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দিয়েছে। আবাসিক অন্য ছাত্রীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের অভিভাবকদের হাতে। আর মানবপাচার আইনে নিখোঁজ শিশু মনিরার বাবার মামলায় আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে চার মাদ্রাসা শিক্ষককে। মোট ৯ জনকে দায়ী করে মামলা হয়েছে।

নিখোঁজ শিশুদের বয়স সাত বছর। তিনজনই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। নিখোঁজ শিশু মিমের মা হাসিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে আসেন। তখন শিক্ষকরা তাকে জানান ভোরে নামাজের জন্য উঠতে বললে তিন শিশু পিছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা পালানোর কোনো আলামত দেখাতে পারেননি। মাদ্রাসা পরিচালক থানায় সাধারণ ডায়েরিতে শিশুদের পালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, নিখোঁজ শিশু মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেনের মামলায় আটকদের মধ্যে দুজন নারী শিক্ষকও আছেন। তারা হচ্ছেন, সহকারী শিক্ষক রাবেয়া বেগম ও শুকরিয়া পারভীন। অন্য দুই শিক্ষক হচ্ছেন, মাদ্রাসা পরিচালক আসাদুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক ইলিয়াস আহমেদ। পুলিশ হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

নিখোঁজ শিশুরা হচ্ছে ইসলামপুরের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আখতার, সভুকুড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা আক্তার ও দক্ষিণ সভুকুড়া গ্রামের সুরুজ জামানের মেয়ে সূর্যবানু। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এই মহিলা মাদ্রাসাটি হঠাৎ করেই খোলা হয়েছে এলাকার একটি জমি ভাড়া নিয়ে। মাদ্রাসার পরিচালক পাশের একটি জেলা থেকে এসেছেন। এলাকার মানুষ অনেক বেশি ধর্মভীরু। মেয়ে সন্তানদের তারা মাদ্রাসায় পড়াতে অনেক বেশি আগ্রহী। এ কারণে মাদ্রাসায় ছাত্রী পেতে সমস্যা হয়নি।

কিন্তু হঠাৎ করে তিন ছাত্রীর এভাবে গায়েব হয়ে যাওয়া স্থানীয়দের মাঝে অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে। এ কারণে দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে ছাত্রীদের উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তারা। পুলিশের সার্কেল এএসপি সুমন মোল্লা স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত তদন্তের ভিত্তিতে ছাত্রীদের উদ্ধার করবেন।

XS
SM
MD
LG