জামিন পেলেন না শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। সোমবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের আদালত। আরও তিন দিন তাঁকে এনসিবি-র হেফাজতেই থাকতে হবে।
মুম্বাইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে সোমবার শুনানি চলছিল আরিয়ান খানের জামিন মামলার। বিচারপতি তাঁকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ, "এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর তদন্তে বাধা পড়া উচিত নয়। তদন্ত চলুক।"
আরিয়ান একা নন, তাঁর সঙ্গে তিন দিনের এনসিবি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁর আরও দুই বন্ধু মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্টকেও। শাহরুখ-পুত্রের সঙ্গেই এই দুজনকেও রবিবার গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্মকর্তারা।
এদিন আদালতে ধৃতদের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিলেন এনসিবি পক্ষের আইনজীবী অনিল সিং। তিনি বলেছেন, "বর্তমানের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যেভাবে মাদক নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে তা আটকাতে হলে আরও জেরা করা দরকার ধৃতদের। কোথা থেকে তাঁরা মাদক নিয়েছেন, আর কে কে এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সব খুঁজে বের করতে হবে।"
আরিয়ানের পক্ষের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে অবশ্য দাবি করেছেন শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর নির্ভর করে হেফাজত চাইতে পারেন না এনসিবি। তিনি বারবার এও দাবি করছেন, তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে সরাসরি কোনও নিষিদ্ধ জিনিস পাওয়া যায়নি। তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকেও তা মেলেনি।
গোয়াগামী প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়ে রবিবার আট জনকে প্রেপ্তার করেছে এনসিবি। আরিয়ান ছাড়া তাদের মধ্যে রয়েছে মুনমুন ধামেচা, আরবাজ মার্চেন্ট, ইসমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, গোমিত চোপড়া, নুপূর সারিকা ও বিক্রান্ত চোকার।
অফিসাররা বলছেন, আরিয়ান ও আরবাজের বন্ধুত্ব ১৫ বছরের। দুজনেই মাদকে আসক্ত। মাদক কেনাবেচার চক্রের সঙ্গেও এদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনের আওতায় তাদের প্রেপ্তার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ মাদক রোধ আইনের ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ ও ৩৫ ধারা প্রয়োগ করেছে এনসিবি।