ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ এবং আহত ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম শাখা) মো. শাহজাহান সিকদার ৭২ জন আহত যাত্রীকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের ঝালকাঠির স্থানীয় হাসপাতালসহ বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চটিতে আনুমানিক ৮০০ থেকে ১২০০ জন যাত্রী ছিল। বাকিরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তীরে পৌঁছে।
বরিশাল বিভাগ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন ইউএনবি কে জানান, বরিশাল ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম শুক্রবার ভোররাত ৩টা ২৮মিনিটে আগুনের সংবাদ পায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঝালকাঠির স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পাশাপাশি বরিশাল থেকে একটি ফায়ার ফাইটার ওয়াটার ভেহিকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ঘন কুয়াশার কারণে ফায়ারফাইটিং ওয়াটার ভেসেলটি পৌঁছাতে দেরি হয়।
তিনি জানান, ভোর ৫টা ২০মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দগ্ধ লঞ্চটি বর্তমানে সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল পাড়ে ভিড়ানো আছে। লঞ্চের স্টিলের বডি প্রচণ্ড গরম থাকায় লঞ্চের ভিতরে ঢুকে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কামাল উদ্দিন আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
অন্যদিকে, লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।