বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা রোববার বিকেলে রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের একটি ভবনে সংঘটিত ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার কারন অনুসন্ধানে সোমবার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত এবং অপর অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং যে সকল আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩ জন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং বিস্ফোরক পরিদফতরের পৃথক তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন। এ সকল সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় সাংবাদিকদের সাথ আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেছেন নাশকতার কোন আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই। বিস্ফোরণ গ্যাসের লিকেজের কারনে ঘটেছে কিনা সেটাই তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেনেন্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে তথ্য-প্রমাণ এবং প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছেন। তদন্ত চলাকালে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে তিনি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণের সঙ্গে মগবাজারের ঘটনার মিল থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পুলিশের মহা পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন এ ধরনের দুর্ঘটনা একাধিকবার হয়েছে যার মধ্যে একটি শনির আখড়ায় ও আরেকটি নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে। তিনি বলেন এটি একটি একমুখী ধ্বংসযজ্ঞ এবং এটা বোমা হলে বহুমুখী ধ্বংসযজ্ঞ হতো। তবে তিনি বলেছেন সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তিনতলা ভবনটি যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন ভবনের মালিককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি একে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলবেন কিনা কারন এটি সংস্কার করে কোনোভাবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। নিজের নিরাপত্তা কথা বিবেচনা করে ভবনটিতে কারো ঢোকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা।