ত্রিপোলীর উপকণ্ঠে অবস্থানরত প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশী নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন। যে কোন সময় বিপদ আসতে পারে এই ভেবে অনেকেই নিরাপদ ঠিকানার দিকে ছুটছেন। যদিও গোটা ত্রিপোলী এখন আতঙ্কের নগরী।
মঙ্গলবার রাতে ত্রিপোলীর ১১ কিলোমিটার দূরে একটি অভিবাসী বন্দি শিবিরে জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী বিমান হামলা চালালে ৫৩ জন নিহত হন। আহত হন ১৩০ জন। এর মধ্যে মাদারিপুরের শাহজালাল কাজী বোমার আঘাতে নিহত হয়েছেন বলে দূতাবাস সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দূতাবাসের তরফে বাংলাদেশীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, যদি কেউ স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে। ১৫০ জন সাড়া দিলেও শেষ পর্যন্ত ৮৭ জন দেশে ফিরেছেন। লিবিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দর আলীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সর্বশেষ অবস্থা কি? তিনি বলেন, যুদ্ধ চলছে দিনরাত। দূতাবাস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে গোলাগুলি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যে বিমান থেকেও হামলার খবর আসছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশীরা কি করছেন?
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনের অবসানের পর থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত লিবিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী সারাজের বাহিনী অন্যদিকে জেনারেল হাফতার বাহিনীর মধ্যেই মূলতঃ লড়াই চলছে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী