অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দিল্লীর পরিবেশ দূষণের জের, সাদা ফেনায় ঢেকে গেছে যমুনা


ধোঁয়াশাচ্ছন্ন সকালে যমুনায় গোসল করছেন নয়া দিল্লির কয়েকজন নারী। (ফাইল ফটো- অনুস্রি ফাদনাভিস/ রয়টার্স)
ধোঁয়াশাচ্ছন্ন সকালে যমুনায় গোসল করছেন নয়া দিল্লির কয়েকজন নারী। (ফাইল ফটো- অনুস্রি ফাদনাভিস/ রয়টার্স)

এবছরও দীপাবলির পরেই দিলীর কালিন্দি কুঞ্জের কাছে যমুনা নদীতে বিষাক্ত ফেনা ভাসতে দেখা গেল রোববার থেকে। অতি দূষণের কারণে যমুনায় অ্যামোনিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। পানি সরবরাহ দূরের কথা, বিষাক্ত ফেনায় ঢেকেছে গোটা নদী। নদীর স্রোতে ভেসে চলেছে সাদা, ঘন সেই ফেনা।

যমুনায় এই দৃশ্য প্রতি বছর ফিরে আসে। এই বছরে অতি-দূষণের আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই। আইনের, নিয়মের তোয়াক্কা না করে দিল্লীতে চলেছে তুমুল দীপাবলি উদযাপন। ধোঁয়ায় ভরেছে রাজধানীর আকাশ-বাতাস। এখন চরম দূষণের ফল ভোগ করছেন এলাকার মানুষ। চোখ জ্বালা, চোখ থেকে পানি পড়া, নিশ্বাসের কষ্ট, কাশি-- নানা রকম সমস্যায় ধুঁকছে দিল্লীর মানুষ।

তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ দীপাবলির রাতেই দিল্লীর বায়ু দূষণের পরিমাণ বিপদসীমা পেরিয়ে যায়। শুক্রবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অর্থাৎ বাতাসের গুণগত মান পেরিয়ে যায় ১০০০। কোভিড এবং পরিবেশের কথা ভেবে যে আইন করা হয়েছিল, তা মোটেই রক্ষা করতে পারেননি সাধারণ নাগরিকরা।

দূষণ পর্ষদ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, দীপাবলির আগে শুধুমাত্র খড় পোড়ানোর কারণেই রাজধানীর দূষণের মাত্রা ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। দিল্লী ছাড়াও নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং গুরুগ্রামের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বেড়ে ওঠে দূষণ। এর মধ্যে বইতে শুরু করেছে উত্তর-পশ্চিম বাতাস। এই হাওয়া পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার শস্য পোড়ানোর ধোঁয়াকে রাজধানীর দিকে টেনে আনে।

করোনা পরিস্থিতি এবং একই সঙ্গে দিল্লীর বাতাসে দূষণের মাত্রার কথা মাথায় রেখে রাজধানীতে যে কোনও ধরনের বাজি পোড়ানোয় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা তো ছিলই। কিন্তু নিয়ম-নিষেধ মানা হয়নি সেভাবে। একই সঙ্গে বিষাক্ত ফেনায় ভরেছে যমুনা নদী।

XS
SM
MD
LG