অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দুবাইয়ে ৫৫৫.৫৫ ক্যারেট কালো হীরার প্রদর্শনী


দুবাইয়ের সথবির একজন কর্মচারী একটি ৫৫৫.৫৫ ক্যারেটের কালো হীরা "দ্য এনিগমা" নিলামের জন্য প্রদর্শন করছেন।১৭ জানুয়ারী ২০২২। (ছবি-এপি/কামরান জেব্রেলি)
দুবাইয়ের সথবির একজন কর্মচারী একটি ৫৫৫.৫৫ ক্যারেটের কালো হীরা "দ্য এনিগমা" নিলামের জন্য প্রদর্শন করছেন।১৭ জানুয়ারী ২০২২। (ছবি-এপি/কামরান জেব্রেলি)

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এক বিরল হীরার প্রদর্শনী হয়েছে। নিলাম প্রতিষ্ঠান সথবি সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সামনে এই হীরাটি প্রদর্শন করে।

৫৫৫.৫৫ ক্যারেট ওজনের “দ্যা এনিগমা” নামের এই কালো রঙের হীরাটি কোনো গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীতে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দুবাইয়ের পর লস অ্যাঞ্জেলেসে এটি প্রদর্শনীর জন্য নেওয়া হয়েছে। তারপর আসছে ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে এটির নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

হীরাটি নিলামে কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা ৬.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হবে বলে আশা করছে সথবি। মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করার কথাও বিবেচনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সথবির দুবাইয়ের রত্ন বিশেষজ্ঞ সোফি স্টিভেন্স বার্তা সংস্থা এপিকে (অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস) জানান, পাঁচ সংখ্যাটি এই হীরাকে ভিন্ন একটা মাত্রা দিয়েছে, এতে ৫৫টি পল রয়েছে।

সোফি বলেন, “হীরাটির আকার মধ্যপ্রাচ্চীয় করতলের প্রতীক ‘খামসা’র মতো দেখতে। ‘খামসা’ শক্তি আর সুরক্ষার প্রতীক”। আরবিতে খামসা শব্দের অর্থ পাঁচ।

“তো পাঁচ সংখাটিকে এই হীরাটির মূল বিষয়বস্তু বা থিম হিসেবে কল্পনা করা যায়”, তিনি আরও বলেন।

কালো হীরাটি মহাকাশ থেকে এসে থাকতে পারে বলে সোফি স্টিভেন্স জানান।

“আমরা বিশ্বাস করি কার্বোনাডো বা কালো হীরা বহির্জাগতিক কোনো প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছিল। সেটা উল্কার সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলে হতে পারে বা রাসায়নিক বাষ্পের বিন্যাসের কারণেও হতে পারে আবার প্রকৃতপক্ষে উল্কা থেকেও আসতে পারে”, তিনি বলেন।

XS
SM
MD
LG