প্রতীক ওমর
ধলী বেগম। জীবন ও জীবিকার তাগিদে রাস্তার ধারে পিঠা বিক্রি করে আসছেন। জীবনের শৈশব খেলা ধূলায় পার হলেও কৈশর থেকেই জীবন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। বগুড়া শহর থেকে বিশ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জ উপজেলার একটি পল্লীতে জন্মান এই নারী। সময়ের কঠিন পরীক্ষায় এক সময় বাবার ভিটে মাটি সব শেষ হয়ে যায়। এক সময় বিয়ে হয় ধলী বেগমের। স্বামীর সাথেই চলে আসেন শহরে। ভাড়ায় ঠিকানা খোঁজে নেন নামাজগড় এলাকায়। স্বামীর রোজগারের সাথে তিনিও সামিল হন সমান তালে।
দীর্ঘ ত্রিশ বছর তিনি বগুড়া শহরের অলিগলিতে শীতে পিঠা আর গরমে পিয়াজিসহ বিভিন্ন ভাঁজা পোড়া খাবার বিক্রি করে আসছেন। এর মধ্যে দশ বছর আগে স্বামীও চলে যায় পরপারে। চার ছেলে মেয়ে নিয়ে হতাশায় পড়ে যান তিনি। তবুও জীবনের এই যুদ্ধে হারমানেনি ধলী বেগম। কষ্টের কথাগুলো অকপটে বললেন তিনি।
ছবিটি শহীদ খোকন পার্ক রোড, বগুড়া থেকে তুলেছেন আমাদের সংবাদদা প্রতীক ওমর।