ধানের শীষে ভোট দেয়ায় গণধর্ষণের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে দেশে বিদেশে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিচারের দাবিতে সোচ্চার।
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। সরকারও এই ঘটনায় বিব্রত। আর্ন্তজার্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইচস ওয়াচ এক বিবৃতিতে ধর্ষণের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে।
ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধু। স্বামী সন্তানদের বেধে তাকে ধর্ষণ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ৩০শে ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে ওই নারীকে নৌকায় ভোট দিতে চাপ দিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুহুল আমিনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন। বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই লজ্জা ধর্ষিতা নারীর নয়, পুরো জাতির।
ওদিকে নির্যাতিতার প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শনিবার নোয়াখালী যান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন এবং সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ফখরুল বলেন, বোন আমরা তোমার পাশে আছি। তোমার কোন ভয় নেই। এই নির্মমতার বিচার একদিন হবেই। আল্লাহ বিচার করবেন।
এর আগে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা নির্যাতিতা নারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
৩০শে ডিসেম্বর রাতে সুবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামে ভোর রাতে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলায় প্রধান অভিযুক্তের নাম নেয়নি এমন অভিযোগ উঠার পর সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী