অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নীলফামারীতে ছয় জঙ্গির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের 


জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি সদস্যদেরকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। (ছবি- বাংলা নিউজ ২৪)
জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি সদস্যদেরকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। (ছবি- বাংলা নিউজ ২৪)

নীলফামারীতে ছয় জঙ্গির নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রবিবার সকালে নীলফামারী থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাদী হয়েছেন র‌্যাব-১৩ রংপুরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল কাদের।

মামলায় প্রধান আসামি হলেন সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩৪)। তবে পলাতক রয়েছেন প্রধান আসামি শরিফুল ইসলাম।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন আহিদুল ইসলাম ওরফে আহিদ ওরফে পলাশ (২৬), ওয়াহেদ আলী ওরফে আব্দুর রহমান (কারখানার শ্রমিক) (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডা. সুজা (পল্লী চিকিৎসক) (২৬), জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ওরফে জোবায়ের (খেলনা প্রস্তকারী কম্পানীতে কর্মরত) (২৮) ও নুর আমীন ওরফে সবুজ (চাকুরিজীবি) (২৮)। তাদের সবার বাড়ি ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়ার পাঁচ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য। তারা বোমা তৈরিতে সক্ষম ছিল এবং তৈরিও করেছিল।

তিনি জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং আরও কারা জড়িত রয়েছেন তাদেরও বের করার কাজ শুরু হয়েছে।

নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করে র‌্যাব। এতে অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।

শনিবার সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারী এলাকায় শরিফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করে র‌্যাবের বোম্ব ডিজপজাল ইউনিটের সদস্যরা।

XS
SM
MD
LG