ভারতের ন'হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়া আজ বলেছেন, ভারতীয় ব্যাংকগুলো থেকে তিনি যে ঋণ নিয়েছিলেন, তার পুরোটাই তিনি ফিরিয়ে দিতে চান। তবে সুদ নয়, শুধু আসল।
বুধবার লন্ডন থেকে একের পর এক টুইট বার্তায় মালিয়া বলেন, তাঁর মদের কোম্পানি ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ সরকারকে বহু টাকা রাজস্ব দিয়েছে। কিংফিশার এয়ারলাইন্সও খুব ভালো পরিষেবা দিয়ে এসেছে। কিন্তু তাকে আরও ভালো করার জন্য ব্যাংকের ঋণ নেওয়ার পর পরই জ্বালানি তেলের দাম আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় সেটি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে।
আমি যে ঋণ নিয়েছি, তার আসলটা ফিরিয়ে দিতে চাই। দয়া করে টাকাটা নিন। উল্লেখ্য, ব্রিটেন থেকে মালিয়াকে বিচারের জন্য ভারতে ফেরৎ আনার মামলা এখন শেষ পর্যায়ে। আর পাঁচ দিন পরে ১০ই ডিসেম্বর তার রায় ঘোষণা হবে। তার আগে ওঁর এই উক্তি তাৎপর্যজনক। অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত ধনী ভারতীয়রা একের পর এক ব্রিটেনে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের বিচারের জন্য ফেরত আনতে ভারত সরকার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
ভারত-ব্রিটেন বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও ব্রিটিশ আইন এতই কড়া যে, চাইলেই ফেরত পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এর সুযোগ নিয়ে আইপিএল কেলেঙ্কারির মাথা ললিত মোদী, কিংফিশার ব্যারন বিজয় মালিয়া, রত্ন ব্যবসায়ী নীরব মোদীর মতো লোকেরা ভারতের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বছরের পর বছর তোফা আরামে ব্রিটেনে কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে অগুস্তা হেলিকপ্টার কাণ্ডে বিচারের জন্য ক্রিশ্চিয়ান মিশেলকে ভারত দুবাই থেকে ফেরৎ পাওয়ার পর বিদেশে আশ্রয় নেওয়া ভারতীয় অর্থনৈতিক অপরাধীরা কিছুটা বিপন্ন বোধ করছেন। দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা