অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন কোটি সাত লাখ টাকা


পাগলা মসজিদের দানবাক্সের অর্থ গুনছেন লোকেরা।
পাগলা মসজিদের দানবাক্সের অর্থ গুনছেন লোকেরা।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স চার মাস ১৭ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এবার গণনা করে পাওয়া গেছে তিন কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।

এছাড়া সোনা ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।

এর আগে, সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ছোটবড় ১২টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১৭ দিনপর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফারজানা খানম, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফারজানা খানম জানান, দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো গুনে নগদ তিন কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া যায়। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদিপশু, ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জুন মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় ২৫০ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদরাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

XS
SM
MD
LG