অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন সেই আসপিয়া ইসলাম


বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মার্চ পাস্ট করছেন নারী পুলিশ সদস্যরা। (ফাইল ফটো- ফারজানা কে গোধূলি/ এএফপি)
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মার্চ পাস্ট করছেন নারী পুলিশ সদস্যরা। (ফাইল ফটো- ফারজানা কে গোধূলি/ এএফপি)

পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশালের হিজলার আলোচিত ‘ভূমিহীন’ কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলাম।শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন তিনি।

স্বপ্নের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় উৎফুল্ল আসপিয়া ও তার পরিবার। বিশেষ করে তার মা প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আসপিয়াসহ সব সন্তানের জন্য দোয়া চেয়েছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দেও খুশি হয়েছেন। যে ঘরের নির্মাণও প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্য দিয়ে তাদের বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হিজলাতে নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত আসপিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আসপিয়ার হাতে শনিবার তুলে দেন হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজান। নিয়োগপত্রে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে আসপিয়াসহ চূড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে জেলা পুলিশ লাইনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নারী টিআরসিদের ছয় মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

নিজ যোগ্যতা বলে সাতস্তরের পরীক্ষায় পঞ্চম হয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় কলেজছাত্রী আসপিয়ার চাকরি হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পিতৃহীন আসপিয়া ও তার পরিবার। পরে ৮ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানের কাছে গিয়েছিলেন আসপিয়া। ডিআইজি আসপিয়ার প্রতি সমবেদনা জানালেও তাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আসপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসন তার জন্য হিজলায় খাস জমিতে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেছে। ঘরটি বানানো প্রায় শেষ পর্যায়ে।

XS
SM
MD
LG