কলাম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সোমবার বলেছেন চলতি সপ্তাহান্তে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আরাউকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রবল লড়াইয়ে অন্তত ২৩ জন মারা গেছেন এবং ২০ জন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
২০১৬ সালে কলাম্বিয়ার সরকার এবং রেভলুশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলাম্বিয়া বা এফএআরসির মধ্যে শান্তি চুক্তি হবার পর থেকে দেশটিতে হত্যার হার অনেক কমে যায়। তবে এই সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড কলাম্বিয়ার সরকারের জন্য বিপত্তিকর হিসাবে চিহ্নিত হয়ে রইলো।
সরকার দেশের গ্রামীণ এলাকায় সংঘাত নিয়ন্ত্রণে সংগ্রাম করে চলছে, যেখানে ছোট ছোট বিদ্রোহী দল এবং মাদক চোরাচা্লানকারি সংগঠনগুলো তাদের ব্যবসার রুট, কোকা ক্ষেত, অবৈধ খনি এবং অন্যান্য সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আরাউকাতে কলাম্বিয়ার সর্ববৃহৎ কয়েকটি তেল কূপ রয়েছে। এগুলো একটি পাইপলাইন দিয়ে যুক্ত যার ওপর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নিয়মিত হামলা করে এবং তেল চুরি করে। রাজ্যটি ভেনেজুয়েলার সীমান্তে অবস্থিত এবং মাদক পাচারকারী দলগুলো দশকের পর দশক ধরে মাদকের রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই করে চলেছে। কলাম্বিয়ার সেনা কর্তৃপক্ষ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণ হচ্ছে গেরিলা দল ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি বা ইএলএন এবং এফএআরসির সাবেক সদস্য যারা শান্তি চুক্তিতে রাজি হয়নি, তাদের মধ্যে লড়াই। সেনা সূত্র আরও জানায় ঐ দুটি দল ঐ স্থানে মাদক বাণিজ্যের আধিপত্য নিয়ে বর্তমানে লড়াইয়ে লিপ্ত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে তারা ২৪ জন মারা যাওয়া, জোর করে উচ্ছেদ এবং অপহরণের খবর পেয়েছে। কলাম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট আইভান ডুকি সোমবার বলেছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিরোধ এবং ভেনেজুয়েলার সীমান্তে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতে তিনি ঐ অঞ্চলে আরও সেনা এবং নজরদারি বিমান বাড়াবেন। ডুকি, ওইসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কিছু কিছু দলকে মদদ ও আশ্রয় দেয়ার জন্যে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে অভিযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন কলাম্বিয়া তাদেরকে প্রতিরোধ করবে “সমস্ত শক্তি দিয়ে”।