জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। ছুড়েছে টিয়ার গ্যাস। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল। তারা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল আগেই। পুলিশ বলছে, অনুমতি নেই। তাই এই সমাবেশ করতে দেয়া যায় না। সমাবেশ শুরুর আগ মুহূর্তে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। ব্যাপক লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-সভাপতি মামুন খানসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী। পুলিশের কয়েকজন সদস্য ইটের আঘাতে আহত হন।
সমাবেশে যোগ দিতে প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু সমাবেশে পুলিশের অ্যাকশনে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি। পুলিশ এক পর্যায়ে প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে লাঠিচার্জ করে। এতে প্রেস ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী আহত হন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে।
ওদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদনে সাড়া দেননি আদালত। ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট কিশোরকে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল। এরমধ্যে লেখক মুশতাক আহমেদ ২৫শে ফেব্রুয়ারি রাতে কাশিমপুর কারাগারে মারা যান। আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছেন, আহমেদ কিশোরকে র্যাব হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। এখন তিনি আদালতের কাছে অভিযোগ জানাতে চান। কিন্তু পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব ও জাতিসংঘের মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আইরিন খান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল ও অবিলম্বে কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তির দাবি জানান। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী