গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়, ভূমিধ্বস এবং আকস্মিক বন্যায় উত্তর ফিলিপাইনে ১১ জন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন সাত জন বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
বেশ কয়েকটি শহর বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সেখান থেকে ৬ হাজার ৫০০ গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
সরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাসকারীরা জানান গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় কোম্পাসুর সর্বশেষ গমন পথ ছিল দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে চীনের হাইনান দ্বীপ এবং পরে স্বাভাবিক বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) এবং দমকা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার (৭৮ মাইল)বেগে ভিয়েতনাম।
ফিলিপাইনের উত্তারাঞ্চলীয় পাহাড়ি প্রদেশ বেঙ্গুয়েটের বেশকিছু বাড়ীঘরে ভূমিধ্বসের আঘাতে ছয়জন মারা গেছেন এবং ঐ অঞ্চলে আরও তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান ক্যাগায়ান শহরের ক্লাভেরিয়ায় বন্দর পরিদর্শনে গিয়ে ঢেউয়ে ভেসে যান একজন নিরাপত্তা কর্মী।
পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ পালাওয়ানে মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় চারজন মারা যান এবং নারা শহরে নিখোঁজ হন চারজন।
বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া পালাওয়ানের ব্রুকস পয়েন্ট শহরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়ীঘর থেকে সোমবার বয়স্ক অধিবাসী ও শিশুদের উদ্ধার করেছেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
তথাকথিত প্যাসিফিক ‘রিং অফ ফায়ার’ অর্থাৎ ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনাময় স্থানে অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০টি ঝড় এবং টাইফুন আঘাত হানে। আর সে কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ দীপপুঞ্জের একটি হিসাবে বিবেচিত।