চালের দামের উর্ধ্বগতি চলছেই। বিশেষ করে চালের দামে উর্ধ্বগতিতে ভয়াবহ সংকটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। চালের মজুদ সংকটই এর কারণ। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, দেশে এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসেই চালের মজুদ প্রয়োজন হবে ১১ লাখ মেট্রিক টন। তবে সরবরাহে ঘাটতি আছে দৈনিক ১৪ হাজার মেট্রিক টন।
সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে শুধুমাত্র মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪৮ শতাংশ। বাজারেও বেসরকারি হিসেবে মোটা চালের দাম বেড়েছে একবছরে কেজিপ্রতি কমপক্ষে ১৫ টাকা, তিন মাসে বেড়েছে ৬ টাকা। আর গত এক সপ্তাহে ২ টাকা। রাজধানীর রাজাবাজারের চালের পাইকারী বিক্রেতা আল-আমিন স্টোরের মালিক জানালেন, বাজারে সব চালের দামই বাড়ছে।
দেশের দৈনিক চাল সরবরাহের প্রয়োজন ৯৪ হাজার মেট্রিক টন। আর সরবরাহ আছে ৮০ হাজার মেট্রিক টনের মতো। এছাড়াও নানা উপায়ে সমাজের দরিদ্র্য মানুষের জন্য সরকারি খাদ্য বিতরণের জন্য জুন পর্যন্ত চাল প্রয়োজন হবে কমপক্ষে সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন। এ কারণে জরুরিভাবে চাল আমদানির কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে যদি খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, খাবার পাওয়া যাবে না। ঢাকা থেকে আমীর খসরু