অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে টিকার দেখা নেই, রয়েছে আগ্রহ


বাংলাদেশে টিকার দেখা নেই, রয়েছে আগ্রহ
বাংলাদেশে টিকার দেখা নেই, রয়েছে আগ্রহ

বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো দেখা নেই। নিকট ভবিষ্যতে আসছে এমন খবরও কেউ দিচ্ছেন না। তবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। টিভির পর্দায় এবং খবরের কাগজে মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেখছে, কোথায় কোন টিকা পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো দেখা নেই। নিকট ভবিষ্যতে আসছে এমন খবরও কেউ দিচ্ছেন না। তবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। টিভির পর্দায় এবং খবরের কাগজে মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেখছে, কোথায় কোন টিকা পাওয়া যাচ্ছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বিলম্বিত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ জুড়ে প্রচণ্ড হতাশা। কারণ বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের এই টিকার জন্যই চুক্তি করেছিল। গত ৫ই নভেম্বর সরকার, বেক্সিমকো ও ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার এক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই সামনে চলে আসে মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের ভ্যাকসিন। পিছিয়ে যায় বৃটিশ ভ্যাকসিন।

যদিও গত দুইদিনে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু আশাব্যঞ্জক খবর আসছে বৃটিশ রাজধানী লন্ডন থেকে। বিশ্বব্যাপী ফাইজারের টিকা নিয়ে রীতিমত লড়াই চলছে। অনেক দেশই চটজলদি চুক্তি করার জন্য দৌড়ঝাপ করছে। আবার অনেক দেশ চুক্তি করেও পাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন অনেক কম। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও এখন পর্যন্ত এই টিকার ব্যবহার শুরু হয়নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জানুয়ারিতে পাওয়া যাবে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে টিকা দানের কোনো প্রস্তুতি শুরু হয়নি। তালিমও দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট সে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছ থেকে ছাড়পত্র পায়নি। ফাইজারের টিকা বাংলাদেশে আসছে না এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ এই টিকা সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। যে পরিমাণ ঠাণ্ডার মধ্যে এই টিকা রাখা প্রয়োজন সে ধরনের কোনো কোল্ড স্টোরেজ বাংলাদেশে নেই। এর ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওপরেই ভরসা করে অপেক্ষা করতে হবে। চীনের সিনোভ্যাকের টিকা অবশ্য পাওয়া যেতে পারে।

তবে বাংলাদেশ চীন থেকে টিকা আনবে কিনা তা বলা কঠিন। সিনোভ্যাকের ট্রায়ালেই বাংলাদেশ সায় দেয়নি। এই যখন অবস্থা তখন ভাইরাসটি দ্বিতীয় দফা ছোবল মারতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগে বলেছিলেন, শীতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে। সরকারের তরফে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সতর্ক রাখা হয়েছে সর্বস্তরের প্রশাসনকে। মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে মাস্ক পরার ব্যাপারে এখনও অনীহা। জেল-জরিমানায়ও কাজ হচ্ছে না। গত একমাসে রাজধানীসহ সারাদেশে ৬২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ সময় মারা গেছেন ৮৩৮ জন। এরমধ্যে বেশিরভাগই রাজধানীর বাসিন্দা।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৬১ জন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:17 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG