অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে বঙ্গোপসাগরে গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু করছে 


বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরছেন জেলেরা- ফাইল ফটো- এপি
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরছেন জেলেরা- ফাইল ফটো- এপি

বাংলাদেশ ও ভারত আগামীকাল বুধবার সমুদ্র অঞ্চলে গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে। উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড যৌথভাবে এই অনুসন্ধান চালাবে। অগভীর সমুদ্রের ৪ নম্বর ব্লকে এই খনন কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অনুসন্ধানে গ্যাস পাওয়া গেলে এটা হবে দেশের জন্য স্বস্তিদায়ক এক সংবাদ। কারণ উপকূলীয় গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খনন কাজ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ২৫ টি অগভীর ও গভীর ব্লকের সন্ধান মিলেছে। এরমধ্যে তিনটি ব্লকে গ্যাস পাওয়া যাবে এমনটাই আশা করছেন কর্মকর্তারা। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদাররা নিজস্ব খরচে এই খনন কাজ চালাবে। তবে গ্যাস বিক্রির টাকা থেকে তাদের খরচের ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তারা নিতে পারবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা উল্লিখিত ব্লকগুলো থেকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত তেলের মালিক হবে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সনে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ একটি চুক্তি সই করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গ্যাসের দাম নিয়ে বিরোধের কারণে তারা অনুসন্ধান করা থেকে বিরত থাকে। বাংলাদেশে প্রতিদিনি গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় প্রায়শই সংকট সৃষ্টি হয়। নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেয়াও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা ৪ হাজার এমএমসিএফ। উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৩৪ এমএমসিএফ। সমুদ্র ছাড়া ভূমিতে ২৮ টি গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। এরমধ্যে ২২টিতে উৎপাদন চালু রয়েছে।

XS
SM
MD
LG