অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বার্লিনে মহামারি বিষয়ক তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন


জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও)’র মহাপরিচালক টেড্রোস এঢেনম গেব্রেইয়েসাস বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বার্লিনে মহামারি ও অতিমারি বিষয়ক তথ্যের জন্য একটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ছবি-এপি
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও)’র মহাপরিচালক টেড্রোস এঢেনম গেব্রেইয়েসাস বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বার্লিনে মহামারি ও অতিমারি বিষয়ক তথ্যের জন্য একটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ছবি-এপি

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও)’র মহাপরিচালক টেড্রোস এঢেনম গেব্রেইয়েসাস বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বার্লিনে মহামারি ও অতিমারি বিষয়ক তথ্যের জন্য একটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এই কেন্দ্রটির লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য বিশ্বের সম্পদ এক স্থানে জমা করা ।

প্রথমে মে মাসে ঘোষিত এই কেন্দ্রটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের জন্য একটি সংগ্রহ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। একটি সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে এটি বিভিন্ন দেশের সরকার এবং একাডেমিক ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রচার করবে।

ফিতা কেটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে, মার্কেল সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড -১৯ মহামারী দেখিয়েছে যৌথ ভাবে কাজ করলে বিশ্ব কি করতে পারে। বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা অবিশ্বাস্য হারে তাদের জ্ঞানের পরিধি সম্প্রসারিত করছেন এবং করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন করে তা অন্যদের জানাচ্ছেন ।

টেড্রোস তার মন্তব্যে বলেন যে কেন্দ্রটি বিভিন্ন দেশ ও মাধ্যমের বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করবে। এই কেন্দ্রটি তথ্য বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন ব্যবহার করবে।

“কোন একক প্রতিষ্ঠান বা জাতি একা এটি করতে পারবে না। এ কারণেই আমাদের এই প্রচেষ্টাকে 'সহযোগিতামূলক বুদ্ধিমত্তা' নামকরণ করেছি।

ঐ সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস মহামারী সম্পর্কে কিছু হালনাগাদ তথ্য দেন। তিনি জানান ডব্লিউএইচও’র তথ্য মোতাবেক, গত সপ্তাহে কভিড-১৯ ‘এ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুই মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো হ্রাস পেয়েছে। তবে তিনি বলেন যে অনেক দেশে এখনও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে টিকা পৌঁছানোর বিষয়ে বিস্ময়কর বৈষম্য এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী যে ৫০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেয়া হয়েছে তার ৭৫ শতাংশ মাত্র ১০টি দেশে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নিম্ন-আয়ের দেশগুলিতে,যার অধিকাংশ আফ্রিকায় অবস্থিত, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ২ শতাংশেরও কম মানুষকে সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে। সে তুলনায় উচ্চ-আয়ের দেশগুলিতে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG