বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার সকালে রানী এলিজাবেথের কাছে পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছেন। অক্টোবরে ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে তিনি সংসদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফিরেই নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অক্টোবরে ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে তিনি সংসদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার সকালে রানীর কাছে পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছেন। রানী এ সিদ্ধান্তে একমত হলে এমপিরা পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের আগে আর কোন বিল পাশ করতে পারবেন না।
বিরোধী লেবার পার্টি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বলেছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সাংবিধানিক সংকটের দিকে দেশ নিপতিত হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজর বলেছেন, জনসনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যাবেন। স্পিকার জন বারকোও প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। টরি ব্যাকবেঞ্চার ডমিনিক গ্রিয়েভ পরিকল্পনাটিকে সাংঘাতিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার কথা, এতে প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘোষণার এক ঘণ্টার মধ্যেই এক লাখ মানুষ একটি পিটিশনে সিদ্ধান্ত স্থগিত করার পক্ষে সই করেছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। বলেছে, এই সিদ্ধান্ত এক অশুভ ইঙ্গিত।
উল্লেখ্য যে, ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করার কথা। ব্রেক্সিট বৃটিশ রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এ ইস্যুতে দুই জন প্রধানমন্ত্রী বিদায় নিয়েছেন।