পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার ভয়েস অফ আমেরিকা সদর দফতরে সফর করেন। ভয়েস অফ আমেরিকার সম্প্রচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারের গুরুত্ব এবং বিশ্বে ব্যতিক্রমধর্মী আমেরিকান গল্পের কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসাবে বিদেশ সফরের বিষয়ে তিনি তাঁর কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
"আমি যখনই পারি আমেরিকার স্বাতন্ত্র্য সম্পর্কে কথা বলি, কারণ এটিই সত্য। আমেরিকা সমৃদ্ধ একটি দেশ এবং আমাদের সত্যিকারের প্রতিষ্ঠাকে যারা উপলব্ধি করে তাঁদের প্রত্যেকেই বুঝতে পারে আমাদের ঐক্য ও সমৃদ্ধির কথা। হয়তো সবসময় আমরা নিখুঁত নই, তবে আমাদের অতীত এবং বর্তমান সম্পর্কে আমাদের গর্ব এবং বিনয় উভয়েরই দরকার"
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আক্রমণ করার মাত্র কদিন পরে পম্পেও ভয়েস অব আমেরিকায় এই সফর করেন। আমেরিকার গণতন্ত্রের প্রতীককে ঘিরে বিশৃঙ্খলার এই খবর বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
পম্পেও ওই সহিংসতার নিন্দা জানান, তবে তারপর কোনও মন্তব্য করেননি।
জার্মান মার্শাল তহবিল এর বিশ্লেষক মাইকেল কিমেজ ভিওএএকে বলেন তিনি হতবাক হয়েছিলেন যে পম্পেও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি।
"এটি আশ্চর্যের বিষয় ছিল যে সেক্রেটারি পম্পেও গত সপ্তাহের ঘটনাগুলি উল্লেখ করেন নি, যা সকলকেই বিস্মিত করেছে। এবং তিনি এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাবেন এটাও বিস্ময়কর”।
কয়েক ডজন বিদেশী ভাষায় বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের জন্য সংবাদ এবং তথ্য সরবরাহ করতে ভিওএকে অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
পম্পেও ভয়েস অফ আমেরিকাকে, আমেরিকার ব্যতিক্রমবাদের কণ্ঠ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শ প্রচারে অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্প্রচারের মূল ভূমিকায় রয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা এবং এটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে কোন সুযোগ দেয়ার জায়গা নয়।
"আমেরিকা যে বৈশ্বিক মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিষ্ঠিত, চীন, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মতো সরকারগুলি সেই মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না। এই সরকারগুলি আমাদের আদর্শের বিপরীতে কাজ করে। আমরা জানি যে সরকার জনগণের সেবা করে। তারা বিশ্বাস করে যে জনগণ সরকারের সেবা করবে। ভিওএর কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা স্বাধীনতার অগ্রদূত।
আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক হিসাবে পম্পেওর মেয়াদ শেষ হবে এ মাসের শেষের দিকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন, প্রাক্তন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করেছেন, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে।