ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং তিব্বতের মধ্যে বিতর্কিত অঞ্চলে ১০০টি-বাড়ির গ্রাম নির্মাণের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে, বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তে বেসামরিক বসতি তৈরিতে চীনের চাপের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের ওপর আলোকপাত করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার বলেন, “চীন গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়েছে, যার মধ্যে কয়েক দশক ধরে তাদের অবৈধভাবে দখল করে রাখা এলাকাও রয়েছে”।
তিনি বলেন, "ভারত আমাদের ভূখণ্ডে এই ধরনের অবৈধ দখলদারিত্ব স্বীকার করেনি এবং চীনের অযৌক্তিক দাবিও স্বীকার করেনি।"
চীন সংক্রান্ত পেন্টাগনের বার্ষিক প্রতিবেদন মিলিটারি এন্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভল্ভিং দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার ২০২১ সালের সংস্করণে, নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়, যেখানে ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় চীনের নির্মাণ কার্যক্রমের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে চলমান কূটনৈতিক এবং সামরিক সংলাপ সত্ত্বেও, চীন “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা যা দুই দেশকে বিভক্ত করেছে সেই এলএসি-তে ক্রমবর্ধমান এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রেখেছে।"
এতে আরও বলা হয়েছে যে "২০২০ সালের কোনো এক সময়ে, পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না)এলএসি(লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোল) -এর পূর্ব সেক্টরে পিআরসি এর তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের মধ্যে বিতর্কিত অঞ্চলে ১০০টি বাড়ির একটি বড় বেসামরিক গ্রাম তৈরি করেছে। ভারত-চীন সীমান্তে এই নির্মাণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রচেষ্টা ভারত সরকার এবং সংবাদ মাধ্যমের মাঝে আতঙ্কের একটি সূত্র সৃষ্টি করেছে।"
স্যাটেলাইটের চিত্র মোতাবেক যে সময়টিতে ভারত এবং চীন তাদের বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তের একটি ভিন্ন অংশে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থানে ছিল ঠিক ঐ সময় অর্থাৎ এই বছরের শুরুতে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের এই গ্রামটি সম্পর্কে খবর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।