অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলো জাতিসংঘ


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মো. মোহসীন এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন ডার ক্লাউ চুক্তিতে সই করছেন। ছবি-পিআইডি/ নইম নিজাম।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মো. মোহসীন এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন ডার ক্লাউ চুক্তিতে সই করছেন। ছবি-পিআইডি/ নইম নিজাম।

ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মো. মোহসীন এবং ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন ডার ক্লাউ উভয় পক্ষে আজ চুক্তিতে সই করেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবং সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা সইয়ের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে যাওয়া নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ করতে পারবে জাতিসংঘ। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে সমালোচিত ভাসানচর প্রকল্পে জাতিসংঘের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি সইয়ের পর সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, এই চুক্তিটির প্রয়োজনীয়তা ছিল অনেক দিন থেকে। এখন ভাসানচরে জাতিসংঘের অধীনস্থ সব সংস্থা কাজ করতে পারবে। সচিব মো. মোহসীন বলেন, কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার হবে বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে। প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানও ইতিবাচক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের ওপর চাপ কমাতে এবং রোহিঙ্গাদের আরও বেশি নিরাপত্তা দিতে ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয় ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যবস্থা, পাকা দালান-ঘরসহ দৈনন্দিন জীবনের অনেক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ধাপে ধাপে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয় সরকার। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এতে আপত্তি জানায়। তারপরও প্রথম ধাপে স্বেচ্ছায় যেতে চাওয়া ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। অনেক শরণার্থী এর মধ্যে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আবার কক্সবাজার চলে গেছে। আবার অনেকে আশ্রয় নিয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পুলিশ আটক করেছে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে। পরে তাদের আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয় কক্সবাজারে। নতুন চুক্তি সইয়ের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে জাতিসংঘের উন্নয়নে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সব দূরত্বের অবসান হলো ভাসানচর নিয়ে।

XS
SM
MD
LG