সংবাদমাধ্যম অতোটা সহজলভ্য নয় ভাসানচরে। মোবাইল ফোনে ভেসে আসে নানান গুজব। দ্বীপবাসীর কাছে গুজব যাচাইয়ের ভরসা রেডিও শ্রোতা আবু তালেব।
১৯৭৭ সালে কেনা তার অনেক পুরাতন রেডিওটির মাধ্যমে এখনও খবর শুনেন প্রবীণ এই রোহিঙ্গা।
ভাসানচরের রেডিও শ্রোতা আবু তালেব বলেন, “ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের আমি নিয়মিত শ্রোতা। রোহিঙ্গা লাইফ লাইন চালু হওয়ার পর থেকে আমি খুব খুশি। কারণ মাতৃভাষায় প্রচারিত খবর ভালোভাবে বুঝতে পারি।”
ভয়েস অফ আমেরিকার টিমকে ভাসানচরে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে এই বেতার শ্রোতা আরও বলেন, “এতদিন ধরে প্রিয় সাংবাদিকদের কণ্ঠ শুনে আসছি। কিন্তু কোনদিনও তাদের চোখে দেখিনি। ভাসানচরে আজ মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলকে দেখার সৌভাগ্য হল। রোকেয়া হায়দার, সাবেরা বেগম তাদেরও কণ্ঠ শুনি। তাদেরও দেখিনি। ভয়েস অফ আমেরিকার সবার জন্য আমি দোয়া করি। ”
ভাসানচরে ত্রাণ হিসেবে সবকিছু পেলেও, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রাপ্তির সুযোগ এখনও কম। সংবাদকে শরণার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ ত্রাণ হিসেবে মূল্যায়ন করছেন বিশ্লেষকরা।
রেডিও শ্রোতা সংগঠক ও উন্নয়ন কর্মী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, “যে মানুষ সঠিক তথ্য পায়, সে অনেক শক্তিশালী, অর্থাৎ তথ্যে ধনী। তাকে info-rich বলা হয়।
আর যে মানুষ সঠিক তথ্য পাচ্ছে না, যথাসময়ে পাচ্ছে না। অথবা বানানো তথ্য কিংবা গুজব পাচ্ছে, তাকে যেকোন ভাবেই তাকে ভুল বুঝাতে পারে। এজন্য তাকে info-poor বলা হয়।”
নানা দুর্যোগে, সংকটে- প্রত্যন্ত অঞ্চলে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখে বেতার। মানুষকে গুজব থেকে বাঁচাতে এবং তথ্যে ধনবান করতে রেডিও’র ব্যবহার আরও বাড়ানো জরুরী বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।
যেখানে অন্যান্য মিডিয়া অসহায় মানুষের কাছে সংবাদ নিয়ে পৌঁছাতে পারেনা; সেখানে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে বেতার মাধ্যম। ভাসানচরে আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসা এই রেডিও’র মাধ্যমে সংবাদ শুনছেন রোহিঙ্গারা। মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল, ভয়েস অফ আমেরিকা, ভাসানচর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম।