ভারতে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট সরকারকে বলেছে, ভিডিও অ্যাপ "টিক টক" পর্নোগ্রাফিতে উৎসাহ দেয়, তাই এটিকে নিষিদ্ধ করা হোক।
বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে দীপংকর চক্রবর্তী।
ভোটের আগে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠেছে। এগুলোকে ভুয়ো খবর প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়ার পরে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া চালু করেছে। তবে আর একটি জনপ্রিয় মিডিয়া, ভিডিও অ্যাপ টিক টক নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির। চিনে তৈরি এই অ্যাপ বিশেষ করে অল্পবয়সীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১২ বছরের বেশি বয়েস হলেই এই অ্যাপ ব্যবহারের ছাড়পত্র মেলে। ভারতে এ পর্যন্ত ২৪ কোটি টিক টক ভিডিও ডাউনলোড হয়েছে। কিন্তু এর বিপদ সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। একটি জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সেই বিপদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অভূতপূর্ব ভাবে ভারত সরকারকে আদালত বলেছে, এটা এমনই আকর্ষণীয় একটা অ্যাপ এবং এটা ব্যবহার করা এতই সহজ যে অল্পবয়সীরা নিজেদের অজান্তেই এর ফাঁদে পড়ে যেতে পারে। এটা পর্নোগ্রাফিতে উৎসাহ দেয়।বন্ধুরা মজা করে যে ভিডিও লেনদেন করে, সেটাই কোনও যৌন শিকারীর চোখে পড়ে গেলে সাংঘাতিক ঘটনা ঘটতে পারে। কাজেই সরকারের উচিত এটা নিষিদ্ধ করা। সরকারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা না হলেও টিক টক কর্তৃপক্ষ সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, অ্যাপটিকে নিরাপদ করে তোলার জন্য তাঁরা যে কোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।