কলকাতায় ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন আজ মোটের উপর নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আরও দুটি কেন্দ্রে আজ ভোটগ্রহণ ছিল- মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর। তবু সকলেরই দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল ভবানীপুরে। কারণ, এখানেই নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিঁকিয়ে রাখার জন্য ভোটে নেমেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেয়নি, তবে বিজেপি ও সিপিআইএম-এর নবীনতর দুই প্রার্থী ছিলেন প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল ও শ্রীজীব বিশ্বাস।
নন্দীগ্রামে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারার পর রাজ্যের যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অত্যন্ত জরুরি। নন্দীগ্রামে হারের পরেই মমতা ঠিক করেন তাঁর নিজের পাড়া ভবানীপুরে দাঁড়াবেন। যেখানে তিনি এর আগে পরপর দু'বার নির্বাচিত হয়েছেন সেখানেই আবার প্রার্থী হওয়া নিরাপদ। উনি নন্দীগ্রামে চলে যাওয়ার পর ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি তাঁর নেত্রীর জন্য কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশন ও পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে কঠোর কথাও শুনতে হয়।
আজকের ভোটে নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৩৫ কোম্পানিই ছিল ভবানীপুরে।
ভোট চলাকালে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ জানান, কয়েকটি বুথে ছাপ্পা ভোট পড়েছে, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির কল্যাণ চৌবের গাড়ি ভাঙচুর করেছে, এবং দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। হাকিমের বক্তব্য, বিজেপি হারবে বুঝতে পেরে এই সব বলছে।
আজ সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ। তার মধ্যে ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৫৩ শতাংশ, সামশেরগঞ্জ ৭৮% ও জঙ্গিপুরে ৭৬%।