নিলামে তোলার জন্য ১০০ মুসলিম নারীর ছবি ‘বুল্লি বাই’ অনলাইন অ্যাপে পোস্ট করার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামল মুম্বাইয়ের সাইবার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলের তীব্র অসন্তোষের মুখে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম গিটহাব ওই ইউজারকে ব্লক করে দিয়েছে।
অনলাইন অ্যাপের নারীদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক আছেন। রয়েছেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি, দিল্লী হাইকোর্টের এক বিচারপতির স্ত্রীর ছবিও। দিল্লী পুলিশও এক মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে। ওই মহিলা সাংবাদিকের ছবিও আপলোড করা হয়েছে।
মাইক্রোসফটের ওপেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সাইট গিটহাব-এ খোলা হয়েছিল ‘বুল্লি অ্যাপ’।
কিছুদিন আগে ‘সুল্লি ডিলস’ নামে অ্যাপ খুলেও মুসলিম মহিলাদের ছবি ‘বিক্রির’ জন্য পোস্ট করা হয়েছিল। ‘বুল্লি বাই’-ও একই ধরনের। অ্যাপটি খুললেই মুসলিম মহিলাদের মুখ ভেসে উঠছে। ‘বুল্লি বাই’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ‘বুল্লি’ মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কে ব্যবহৃত একটি অপমানসূচক শব্দ। ‘সুল্লি ডিলস’-এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট পদক্ষেপ করা হয়নি।
শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী মুম্বই পুলিশ ও মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র তথা তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী সতেজ পাটিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘বুল্লি বাই’-এর ব্যাপারে। অনলাইনে এমন নারীবিদ্বেষ ও মুসলিম মহিলাদের প্রতি সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, বিদ্বেষের পরিপ্রক্ষিতে পাটিল দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন মুম্বই পুলিশকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (এ), ১৫৩ (বি), ২৯৫ (এ), ৫০৯, ৫০০ ধারা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় ট্যুইটার হ্যান্ডল হোল্ডার ও 'বুল্লি অ্যাপ' ডেভেলপারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
ধারাগুলি বিদ্বেষ ছড়ানো, জাতীয় সংহতির পরিপন্থী কাজ, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, যৌন হয়রানি, মহিলার পিছু নেওয়া, মানহানি সংক্রান্ত। আর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ অনুচ্ছেদটি অশালীন কন্টেন্ট প্রকাশ ও সম্প্রচার সংক্রান্ত। মহিলা বিরোধী মানসিকতা, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়়ানো কনটেন্টে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভর্তি, এটা খুবই উদ্বেগজনক বলে জানান পাটিল।
