অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী


খুব জোরেশোরে না হলেও ২০২০ সালের যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে; রিপাবলিকান ডেমোক্রেটিক উভয় দলের মধ্যেই।

খুব জোরেশোরে না হলেও ২০২০ সালের যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে; রিপাবলিকান ডেমোক্রেটিক উভয় দলের মধ্যেই। এ নিয়ে আমাদের জাতীয় সংবাদদাতা জিম মেলোনের একটি রিপোর্ট শোনাচ্ছেন সেলিম হোসেন।

রিপাবলিকান দল থেকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে কাজ শুরু করেছেন,

সেটা তাঁর কথাবার্তায় অনেকটাই আঁচ করা যায়। বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেটও ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আগামী বছর ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কে বা কারা হতে পারেন এখনো পর্যন্ত পরিস্কারভাবে কারো নাম উঠৈ আসেনি।

সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনের নাম শোনা যাচ্ছে। প্রাথমিক নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ের রাজ্য নিউ হ্যা্ম্পশায়ার এবং আইওয়া দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি এমন আভাসও দিচ্ছেন অনেকেই। সেখানে দেয়া বক্তব্য তিনি বলেন: “যুক্তরাস্ট্রের সর্বনিম্ন বেতন এমন হওয়া দরকার যা দিয়ে একজন মা বা বাবা তার সন্তানদেরকে দারিদ্র মুক্ত রাখতে সমর্থ হন। কিন্তু তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এটা হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি”।

কোনো সমাবেশে এমন বক্তব্য দেয়াটা খানিকটা রাজনৈতিক এজেন্ডার মতো। ওয়ারেনের সঙ্গে ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক গৃহায়ন মন্ত্রী জুলিয়ান ক্যাস্ট্রো: “আমরা একসঙ্গে কাজ করবো; যাতে আমরা এটি নিশ্চিত করতে পারি যে ভীতির চেয়ে আশা শক্তিশালি হয়। অন্ধকারের চেয়ে আলো বড় হয়। এবং সত্য; মিথ্যার চেয়ে বড় হয়”।

ডেমোক্রেটিক দলের বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের মধ্যে সেনেটর ওয়ারেন এলিজাবেথ একজন যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারেন।

আরেকজন ডেমোক্রেট রাজনীতিক হচ্ছেন নিউইয়র্ক সেনেটর ক্রিস্টেন জিলিব্রান্ড যিনি ২০২০ সালে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

এই দলের আরো যে কজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা হলেন: হাওয়াই থেকে প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য তুলসি গ্যাব্বার্ড, ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর কামালা হ্যারিস, মিনেসোটার সেনেটর এ্যামি ক্লোবুচার।

এছাড়া ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন টেক্সাস কংগ্রেসম্যান বেটো ও’রোরকে, নিউজার্সি সেনেটর কোরি বুকার, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাইডেন গত মেয়াদ মধ্যবর্তী নির্বাচনে মন্তব্য করেন: “আমেরিকাকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত রাখতে হবে। বিভক্তির কিছু লক্ষন আমরা দেখেছি, এটা বন্ধ করতে হবে, এখনই”।

জো বাইডেন এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পরিচিত; তবে কেউ সুস্পস্টভাবে এখনো বলতে পারে না কার কি সম্ভাবনা। যেমনটি বললেন University of Virginia এর রাজনীতি বিশ্লেষক ল্যারী সাবাতো:

“বাইডেন যদি শক্তিশালি প্রার্থী নাও হন; জনমত জরিপে তিনি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। ৩০, ৩৫, ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তিনি। তবে এই নম্বর গত নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রার্থী হিলারী ক্লিন্টন বা অন্যদের মতো বেশী নয়”। ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রার্থী বেশী হওয়াটাই ভালো এবং প্রাইমারী নির্বাচনের যুদ্ধটা যতো শক্তিশালি ও লম্বা হয় ততোই মঙ্গল, বললেন বিশ্লেষক জিম কেসলার:

“আমার ধারনা প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় এবার প্রার্থীর সম্ভাবনা অনেক পরিস্কার হয়ে যাবে। ২০০০ সালে বিল ব্র্যাডলির চেয়ে আল গোর সমর্থন বেশি পেয়েছিল বা ২০১৬ সালে বার্নি স্যান্ডার্সকে টপকে হিলারী ক্লিন্টন বেশী সমর্থন পেয়েছিল; এবার বিষয়টি এমন না। এবার মনে হয় প্রতিদ্বন্দ্বীতা খুব শক্ত হবে”।

রিপাবলিকানদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনপ্রিয়, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তার সার্বিক জনপ্রিয়তা কমছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও প্রাইমারী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ওহাইও গভর্ণর জন কেসিকের দ্বারা।

কেসিক সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেন, “আমি এই দেশকে বিভক্তির হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারি”।

রিপাবলিকান দলের রাজনীতিকদের মধ্যে থেকে ট্রাম্পেকে পুননির্বাচিত করার প্রয়াস শুরু হয়েছে জোরে শোরেই। সকলে মিলেই চেষ্টা করছেন তাঁকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট বানানোর। ফলে রিপাবলিকান দলের মধ্যে থেকে কেউ তাঁর জন্যে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোটা সহজ হবে না।

XS
SM
MD
LG