বর্তমানে কয়েক হাজার বাংলাদেশী সংঘাত-সহিংসতা ও ঝুকিপূর্ণ লিবিয়ায় অবস্থান করছেন। কতোজন বাংলাদেশী লিবিয়ায় বর্তমানে আছেন, ঢাকায় কর্তৃপক্ষীয়ভাবে এর সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও এই সংখ্যা কম করে হলেও ২০ হাজারের মতো হবে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। ২০১১ থেকেই লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের অবস্থান এবং নতুন করে যাওয়ার উপরে বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে ২০১৫’র দিকে পুনরায় ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে থাকে। এই সুযোগে লিবিয়াকে কেন্দ্র করে প্রাণনাশী ও ঝুকিপূর্ণ ভ‚মধ্যসাগর কেন্দ্রীক মানব পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানব পাচারের জন্য। ভূমধ্যসাগর বাংলাদেশীদের জন্য এ কারণে ঝুকিপূর্ণ, বিপদসংকুল ও প্রাণহানিকর এক এলাকার নাম। এদিকে, এই আগস্টে লিবিয়ার সরকার সমর্থক এবং সরকার বিরোধী বেশ কয়েকটি মিলিশিয়া বাহিনীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের কারণে লিবিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। লিবীয় সরকার এই আগস্টের শেষ সপ্তাহে দেশটিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার গত দিন ১৫ সময়ে লিবিয়ায় আটকেপড়া প্রায় তিনশ বাংলাদেশীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। নিজ উদ্যোগেও দেশে ফিরে এসেছেন অনেক বাংলাদেশী। লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের পরিস্থিতি এবং ভূমধ্যসাগর কেন্দ্রীক মানব পাচারের কারণে বাংলাদেশীদের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম-এর প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর।
ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন আমীর খসরু।