ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক ড. শহীদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।
ফের নাকচ হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক ড. শহীদুল আলমের জামিন আবেদন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে এক মাস আগে যখন ছাত্র আন্দোলন চলছিল তখন শহীদুল আলম আল-জাজিরায় সরকারের সমালোচনা করেন। ঐ রাতেই তথ্য প্রযুক্তি আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। মহানগর হাকিম কেএম ইমরুল কায়েস জামিন আবেদনে সাড়া দেননি। তিনি বিস্তারিত উল্লেখ না করে আদালতে বলেন, জামিন দেয়া সম্ভব হলো না। কেন জামিন হলো না তা জানা যাবে পূর্ণাঙ্গ আদেশে। ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া শহীদুলের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন। আদালতে সারা হোসেন বলেন, শহীদুল আলমের মুক্তির জন্য বিশ্বের অনেক নামকরা ও গুণী মানুষ বিবৃতি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এমপিও মুক্তি চেয়েছেন। তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের পর মামলা দেয়া হয়েছে। তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলো কোন আইনে? ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, শহীদুল আলম কাউকে রাস্তায় নামতে বলেননি। নাগরিক হিসেবে তার মতামত দিয়েছেন মাত্র। তাহলে জামিন পেতে আপত্তি কোথায়?
শুনানিতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, উস্কানি দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে তিনি উৎখাত করার আহ্বান জানান। যা কিনা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। আব্দুল্লাহ আবু বলেন, বিশ্বের কে বিবৃতি দিলেন তা বিবেচ্য বিষয় নয়। এটা আদালতের ব্যাপার।